
রুশ ভূখণ্ডে শান্তিরক্ষী মোতায়েন করা হলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঝুঁকি তৈরি হতে পারে—এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের সচিব সের্গেই শোইগু।
রুশ ভূখণ্ডে শান্তিরক্ষী মোতায়েন করা হলে তা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে—এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের সচিব সের্গেই শোইগু। রুশ সংবাদ সংস্থা তাস-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই মন্তব্য করেন।
সাক্ষাৎকারে শোইগু দাবি করেন, তথাকথিত ‘ইউরোপীয় জোট’ ইউক্রেনে শান্তিরক্ষীর ছদ্মবেশে সামরিক হস্তক্ষেপের পরিকল্পনা করছে। তার মতে, ইউরোপের যুক্তিবান রাজনীতিকরাও বোঝেন, এই পরিকল্পনা কার্যকর হলে তা ন্যাটো ও রাশিয়ার মধ্যে সরাসরি সংঘর্ষে রূপ নিতে পারে—এবং তা ভবিষ্যতে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দিকে গড়াতে পারে।
শোইগু আরও বলেন, ‘শান্তিরক্ষী’ শব্দের আড়ালে আসলে ইউক্রেন ও এর প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার একটি ছলচাতুরি লুকিয়ে আছে। তাই এসব সৈন্যদের ‘দখলদার’ বলা অধিকতর সঠিক হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তার ভাষায়, এই সৈন্যরা মূলত সেই সব ন্যাটো সদস্যদেশ থেকে আসবে, যাদের ইউক্রেনে সামরিক উপস্থিতির বিরোধিতা রাশিয়া বহু আগেই প্রকাশ্যে করেছে।
শোইগু আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, সম্ভাব্য এই শান্তিরক্ষীরা ইউক্রেনের তথাকথিত ‘নাৎসি’ সরকারকে সমর্থন করতে পারে এবং রুশ অর্থডক্স খ্রিস্টানদের দমন ও রুশভাষী জনগণের ভাষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের ওপর আঘাত হানার চেষ্টা করতে পারে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, “এটি কোনো শান্তিরক্ষা মিশন নয়।” এ কারণেই বিশ্বের প্রকৃত সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ এই তথাকথিত শান্তিরক্ষা উদ্যোগে যোগ দিতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না।
সূত্র: আরটি, মেহের নিউজ, নিউজ উইক