
সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান ও সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীকসহ ৪৪ জনের নাম উল্লেখ করে গুলি করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে নতুন একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া, মামলায় আরও ৩০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের নির্দেশে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা-পুলিশ মামলাটি রেকর্ড করেছে বলে জানিয়েছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুর আলম।
মামলাটির বাদী হয়েছেন সুনামগঞ্জ জেলা সদরের পার্বতীপুরের আফতাব মিয়ার ছেলে লিটন মিয়া। তিনি ৬ মার্চ নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে মামলার আবেদন করেন। শুনানি শেষে ৯ মার্চ আদালত মামলাটি রুজু করার নির্দেশ দেন এবং সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসিকে তা কার্যকর করতে আদেশ দেন।
মামলার এজাহারে নাম উল্লেখ করা অন্যান্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন—সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের ছেলে অয়ন ওসমান, ভাতিজা আজমেরী ওসমান, সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর ছেলে গোলাম মর্তুজা পাপ্পা, রূপগঞ্জের তারাব পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি আওলাদ হোসেন বাদল, সাধারণ সম্পাদক মনির খান সুমেল, তারাব পৌর যুবলীগের সহসভাপতি মহাসিন ভূঁইয়া, পৌর যুবলীগ নেতা মাহমুদুল হাসান সিয়াম, যুবলীগ নেতা আবদুল্লাহ খান, রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, যুবলীগ নেতা রাব্বী, রায়হান কবির সুমন, রাকিব মিয়া, আল আমিন, তৌহিদুল ইসলাম, ফয়সাল কানন, বাপ্পী, জাহিদ হাসান, মেহেদী হাসান, মাহিনুর রহমান, ইলিয়াস, ফিরোজ ভূঁইয়া প্রমুখ।
মামলার আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বাদীর ভাই মিজান গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল এলাকায় অবস্থান নেন। সে সময় শামীম ওসমানসহ কয়েকজনের নির্দেশে আসামিরা মিজানকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি চালান, যার ফলে তিনি গুরুতর আহত হন এবং বাঁ পায়ে গুলিবিদ্ধ হন।