আইসিসি ইভেন্টে অপ্রতিরোধ্য ভারত

আইসিসি ইভেন্টে অপ্রতিরোধ্য ভারত
ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মার নেতৃত্বে নতুন মাইলফলক বার্বাডোজে ২০২১ সালে টি-২০ বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় দল এবার ‘মরুশহর’ দুবাইয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জিতে ইতিহাস তৈরি করেছে। রোহিত শর্মার নেতৃত্বে ভারত বিশ্বকাপ জিতলেও ২০২৩ সালের দুটি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ এবং ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে এসে চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি। তবে রোহিতের অধিনায়কত্বে ভারতের সাফল্য অব্যাহত, গত দেড় বছরে ভারত ৪টি আইসিসি ইভেন্টের ফাইনালে খেলেছে, যার মধ্যে দুটিতে জয় এবং দুটিতে রানার্সআপ হওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করেছে। ভারতের ক্রিকেটে রোহিতের নেতৃত্বে সাদা বলে তারা এখন সবচেয়ে ধারাবাহিক দল হিসেবে উঠে এসেছে। ২০২৩ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালের পর ভারত টানা ২৩ ম্যাচে অপরাজিত রয়েছে।

রোহিত ও গম্ভীরের নেতৃত্বে ভারতীয় ক্রিকেটের নতুন দিগন্ত

২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর ভারতীয় ক্রিকেট দলের পরিস্থিতি ছিল চ্যালেঞ্জিং। ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ হেরে কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলির নেতৃত্বাধীন ভারত। তখনই তাদের অবসর নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। এই পরিস্থিতিতেই সাদা বলের টুর্নামেন্ট জয়ের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল রোহিত ও গম্ভীরের ভারত। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে দলে রদবদল আনা হয়, ইয়াশভি জয়সোয়ালকে বাদ দিয়ে স্কোয়াডে জায়গা দেওয়া হয় বরুণ চক্রবর্তীকেও। দুবাইয়ের ফাইনালে চার স্পিনারের সঙ্গে খেলতে নেমে ভারত জয় পায় ৬ উইকেটের ব্যবধানে।

চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারত ৯টি আসরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৩টি শিরোপা জিতেছে। ২০০২ সালে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যুগ্মভাবে এবং ২০১৩ সালে এককভাবে শিরোপা জিতেছিল ভারত। রোহিত ও বিরাট কোহলি যৌথভাবে আইসিসির ৯টি টুর্নামেন্টের ফাইনালে খেললেও চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন ৪টি। দুবাইয়ে ফাইনালের সেরা খেলোয়াড় ছিলেন রোহিত, যদিও কোহলি সফল হননি। তবে কোহলি, তরুণদের পারফরম্যান্সে মুগ্ধ হয়ে ভারতীয় ক্রিকেটের উজ্জ্বল ভবিষ্যত দেখছেন। তিনি বলেছেন, “আমাদের দল আগামী ৮-১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিশ্ব শাসন করবে।”

এর পাশাপাশি, কোচ গৌতম গম্ভীরও একটি রেকর্ড গড়েছেন। ২০০৭ সালে টি-২০ বিশ্বকাপ এবং ২০১১ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপ জেতা গম্ভীর এবার কোচ হিসেবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জিতেছেন। ক্রিকেট ইতিহাসে এমন কৃতিত্ব রয়েছে আরও কয়েকজনের মধ্যে, যেমন রাহুল দ্রাবিড়, ড্যারেন লেহম্যান, জিওফ মার্শ, এবং গ্যারি কার্স্টেন।

ভারতের বর্তমান ক্রিকেট দল এখন এক নতুন শক্তিতে পরিণত হয়েছে এবং ভবিষ্যতে আরও সাফল্যের পথে এগিয়ে যাবে, এই প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *