নোয়াখালীতে বামনী নদীর ভাঙন রোধে হাজারো নারী-পুরুষ মানববন্ধনে অংশ নেয়।

নোয়াখালীতে বামনী নদীর ভাঙন রোধে হাজারো নারী-পুরুষ মানববন্ধনে অংশ নেয়।
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে বামনী নদীর ভাঙন রোধের দাবিতে নদীতীরে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। আজ দুপুরে চর এলাহীর চর কচ্ছপিয়া এলাকায় এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চর এলাহী ইউনিয়নে বামনী নদীর ভাঙন রোধে ব্লক স্থাপন, নদীতে ক্লোজার (বাঁধ) নির্মাণ ও রেগুলেটর চালুর দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চর কচ্ছপিয়ার নদীভাঙন এলাকায় এ কর্মসূচি পালন করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

মানববন্ধনে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন চর এলাহী ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি ইসমাইল তোতা, ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মোহাম্মদ আইয়ুব আলী, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহিমসহ আরও অনেকে। বক্তারা বলেন, কোম্পানীগঞ্জের বামনী নদীর ভাঙন রোধে চর এলাহী এলাকায় কয়েক বছর আগে একটি রেগুলেটর নির্মাণ ও বিকল্প একটি খাল খনন করা হয়েছিল। তখন বলা হয়েছিল, রেগুলেটরের কাজ শেষ হলে নদীতে একটি ক্লোজার (বাঁধ) নির্মাণ করা হবে। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে এখনও সেই ক্লোজার নির্মাণ করা হয়নি। ফলে চাপরাশি খালের দুই পাড়ে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে এবং ইতোমধ্যে শত শত পরিবার বসতভিটা হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে।

বক্তারা বলেন, বর্তমানে বামনী নদীর ভাঙন যে গতিতে এগোচ্ছে, তাতে আগামী বর্ষায় নদীতীরবর্তী অসংখ্য বাড়িঘর, ফসলি জমি ও মাছের খামার নদীতে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নদীতে ক্লোজার (বাঁধ) নির্মাণের দাবি জানান তাঁরা। পাশাপাশি, ইতিপূর্বে নির্মিত রেগুলেটরটি দ্রুত চালু করার আহ্বান জানান বক্তারা।

মানববন্ধনে নদীভাঙনের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন ভিটেমাটি হারানো আবদুল খালেক। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, “আমার বাড়ি ছিল নদী থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে। বছরখানেক আগে ভাঙনে সব হারিয়ে এখন অন্যের জমিতে ছোট্ট একটা ঘর তুলে কোনোভাবে টিকে আছি। যেভাবে নদী ভাঙছে, তাতে এই ঘরটাও হয়তো বর্ষায় থাকবে না।”

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে নোয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হালিম সালেহী প্রথম আলোকে বলেন, “বামনী নদীতে ক্লোজার (বাঁধ) নির্মাণের একটি প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি রেগুলেটরটি খুলে দেওয়ার। সেটা করতে পারলে নদীর ভাঙনের মাত্রা কিছুটা হলেও কমবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *