
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. ফজলুর রহমান বলেছেন, “এখন সবাই বড়লোক হওয়ার পেছনে ছুটছে। এই অর্থবিত্তের পাগলামির কারণেই সমাজে দ্বন্দ্ব বাড়ছে, অবৈধভাবে ক্ষমতায় যেতে চায় সবাই। কারণ, ক্ষমতা থাকলেই টাকা লুট করা যায়—কেরানি হয়েও তিন মাসে ৪০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা সম্ভব হচ্ছে।”
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতি কার্যালয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কিশোরগঞ্জ জেলা ইউনিটের সাংগঠনিক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, “যখনই নির্বাচন হবে, বিএনপিই ক্ষমতায় আসবে। এই কথাটা কেউ ফিরিয়ে দিতে পারবে না। দেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে আমাদের আচরণ, আইন ও বিচার ব্যবস্থার মানের ওপর। আমরা যদি ভালো হই, দেশও ভালো হবে।”
সরকারের সমালোচনা করে ফজলুর রহমান বলেন, “শেখ হাসিনার সময় ছিল নিগূঢ় অন্ধকারে ঢাকা। সামনের কোনো পথ দেখা যেত না—১৫ বছর ধরে মানুষ ছিল রাজনৈতিক অমাবস্যায়। এখন আর অন্ধকার না, কুয়াশা—আরেক ধরনের বিভ্রান্তি।”
তিনি মন্তব্য করেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্বাচন না দিলে দেশ আবার সেই অন্ধকারেই ফিরে যাবে। নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূসকে নিয়ে বলেন, “দেশবাসী তাঁকে অনেক আস্থা নিয়ে সব ক্ষমতা দিয়েছিল। ভেবেছিলাম, গণতন্ত্র ফিরবে, সোনার বাংলা হবে। এখনো সময় আছে, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দিন। যে দল সংখ্যাগরিষ্ঠ হবে, তাদের হাতে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন। না হলে জাতি আবার অন্ধকারে তলিয়ে যাবে।”
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি ও পিপি মো. জালাল উদ্দিন।
সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মো. সহিদুজ্জামান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাধারণ সম্পাদক আঞ্জুমান আরা বেগম, সহপ্রশিক্ষণ সম্পাদক মো. ওমর ফারুক এবং সহশিক্ষা সম্পাদক আশিকুজ্জামান নজরুল।
সভাটি সঞ্চালনা করেন জেলা ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মঞ্জুরুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা, শরীফুল ইসলাম, স্পেশাল পিপি এ এম সাজ্জাদুল হক, মোশারফ হোসেন ও আইনজীবী জেসমীন সুলতানা।