যদি জানতাম ছেলেকে ক্ষমা চাইতে হবে, তবে কখনও লাইসেন্স নিতাম না।
লাইসেন্স ইস্যু নিয়ে বিতর্ক: ‘ছেলের ক্ষমা চাইতে হবে জানলে কখনো লাইসেন্স নিতাম না’ — বিল্লাল হোসেন
সম্প্রতি কুমিল্লার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে ইস্যু হওয়া একটি ঠিকাদারি লাইসেন্সের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। লাইসেন্সটি ছিল স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার পিতা বিল্লাল হোসেনের নামে। বিষয়টি ঘিরে শুরু হয় ব্যাপক বিতর্ক, আর তুমুল সমালোচনার মুখে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর অবশেষে সেটি বাতিল করে দেয়।
বাবার খোলামেলা স্বীকারোক্তি
বিষয়টি নিয়ে দৈনিক যুগান্তরের সঙ্গে খোলামেলা কথা বলেন বিল্লাল হোসেন। তিনি বলেন, “যদি জানতাম, এই লাইসেন্সের কারণে আমার ছেলেকে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে, তাহলে কখনোই এটি করতাম না। আমি ভাবতেই পারিনি যে এটি এভাবে আলোচনায় আসবে বা এতটা নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।”
তিনি জানান, প্রধান শিক্ষক হওয়ার পাশাপাশি ঠিকাদারি কাজ করা অনুচিত—এমন কোনো নিয়ম তিনি আগে জানতেন না, আর স্থানীয় দায়িত্বশীলরাও বিষয়টি তাকে স্পষ্টভাবে বোঝাননি।
‘লাইসেন্স করার পেছনের অনুপ্রেরণা’
একজন ঠিকাদারের পরামর্শে নয় বরং এলাকার কয়েকজন তরুণ উন্নয়নমূলক কাজের জন্য লাইসেন্স করার অনুরোধ করেছিল বলে দাবি করেন তিনি। বিল্লাল হোসেন বলেন, “আমি শুধু ভাবলাম, এই ছেলেগুলো যদি ভালো কিছু করতে চায়, তাহলে তাদের সহযোগিতা করা উচিত। আমার কোনো ব্যক্তিগত লাভের উদ্দেশ্য ছিল না।”
যুবকদের পরিচয় জানতে চাওয়া হলে তিনি নাম বলতে অস্বীকৃতি জানান।
‘আমি কোনো কাজ করিনি’
বিল্লাল হোসেন বলেন, “আমি নিজের নামে লাইসেন্স করলেও কোনো প্রকল্পে অংশ নেইনি। বিষয়টিকে কিছু মানুষ এমনভাবে উপস্থাপন করছেন, যেন আমি বড় কোনো অপরাধ করে ফেলেছি। অথচ এলাকার অনেক রাজনীতিবিদের পরিবারের সদস্যরা এ ধরনের কাজ করে থাকেন, আমরা তো তাদের নিয়ে কথা বলি না।”
তিনি প্রশ্ন তোলেন, “আমি কি সব আইন জানি? জানার পরেই তো লাইসেন্স বাতিল করেছি।”
উপদেষ্টার প্রতিক্রিয়া
সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি লাইসেন্সের ছবি প্রকাশ করলে বিষয়টি সামনে আসে। সাংবাদিকের অনুসন্ধানে জানা যায়, ১৬ মার্চ কুমিল্লা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে এটি ইস্যু করা হয়েছিল।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ প্রথমে বিষয়টি জানেন না বলে মন্তব্য করলেও পরে স্বীকার করেন যে, তাঁর অজান্তেই এটি করা হয়েছে এবং কোনো ধরনের কার্যক্রমে তা ব্যবহার হয়নি। তিনি ফেসবুকে এক পোস্টে বাবার ভুলের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন।
স্থানীয়দের প্রতিক্রিয়া
আকাবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শিমুল বিল্লাল জানান, লাইসেন্সের বিষয়ে কথা বলতে গেলে তিনি বিল্লাল হোসেনকে ছেলের সঙ্গে পরামর্শ করার পরামর্শ দিয়েছিলেন।
এলজিইডির কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল মতিন জানান, বিল্লাল হোসেন নিজেই লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছিলেন এবং কোনো কার্যক্রম পরিচালিত না হলেও পরে সেটি বাতিল করা হয়েছে।
সমালোচনা
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর কুমিল্লা সভাপতি শাহ মোহাম্মদ আলমগীর খান বলেন, একজন প্রধান শিক্ষক হিসেবে এমন লাইসেন্স নেয়া অনুচিত ছিল।
সনাক কুমিল্লার সাবেক সভাপতি বদরুল হুদা জেনু বলেন, “উনি না বুঝে করেছেন — এই ব্যাখ্যা জনসাধারণের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। দেশে এমন সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে, যেখানে ক্ষমতাসীনদের আত্মীয়রা নানা সুবিধা নেওয়ার সুযোগ খোঁজেন।”
লাইসেন্স ইস্যু নিয়ে বিতর্ক: ‘ছেলের ক্ষমা চাইতে হবে জানলে কখনো লাইসেন্স নিতাম না’ — বিল্লাল হোসেন
সম্প্রতি কুমিল্লার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে ইস্যু হওয়া একটি ঠিকাদারি লাইসেন্সের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। লাইসেন্সটি ছিল স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার পিতা বিল্লাল হোসেনের নামে। বিষয়টি ঘিরে শুরু হয় ব্যাপক বিতর্ক, আর তুমুল সমালোচনার মুখে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর অবশেষে সেটি বাতিল করে দেয়।
বাবার খোলামেলা স্বীকারোক্তি
বিষয়টি নিয়ে দৈনিক যুগান্তরের সঙ্গে খোলামেলা কথা বলেন বিল্লাল হোসেন। তিনি বলেন, “যদি জানতাম, এই লাইসেন্সের কারণে আমার ছেলেকে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে, তাহলে কখনোই এটি করতাম না। আমি ভাবতেই পারিনি যে এটি এভাবে আলোচনায় আসবে বা এতটা নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।”
তিনি জানান, প্রধান শিক্ষক হওয়ার পাশাপাশি ঠিকাদারি কাজ করা অনুচিত—এমন কোনো নিয়ম তিনি আগে জানতেন না, আর স্থানীয় দায়িত্বশীলরাও বিষয়টি তাকে স্পষ্টভাবে বোঝাননি।
‘লাইসেন্স করার পেছনের অনুপ্রেরণা’
একজন ঠিকাদারের পরামর্শে নয় বরং এলাকার কয়েকজন তরুণ উন্নয়নমূলক কাজের জন্য লাইসেন্স করার অনুরোধ করেছিল বলে দাবি করেন তিনি। বিল্লাল হোসেন বলেন, “আমি শুধু ভাবলাম, এই ছেলেগুলো যদি ভালো কিছু করতে চায়, তাহলে তাদের সহযোগিতা করা উচিত। আমার কোনো ব্যক্তিগত লাভের উদ্দেশ্য ছিল না।”
যুবকদের পরিচয় জানতে চাওয়া হলে তিনি নাম বলতে অস্বীকৃতি জানান।
‘আমি কোনো কাজ করিনি’
বিল্লাল হোসেন বলেন, “আমি নিজের নামে লাইসেন্স করলেও কোনো প্রকল্পে অংশ নেইনি। বিষয়টিকে কিছু মানুষ এমনভাবে উপস্থাপন করছেন, যেন আমি বড় কোনো অপরাধ করে ফেলেছি। অথচ এলাকার অনেক রাজনীতিবিদের পরিবারের সদস্যরা এ ধরনের কাজ করে থাকেন, আমরা তো তাদের নিয়ে কথা বলি না।”
তিনি প্রশ্ন তোলেন, “আমি কি সব আইন জানি? জানার পরেই তো লাইসেন্স বাতিল করেছি।”
উপদেষ্টার প্রতিক্রিয়া
সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি লাইসেন্সের ছবি প্রকাশ করলে বিষয়টি সামনে আসে। সাংবাদিকের অনুসন্ধানে জানা যায়, ১৬ মার্চ কুমিল্লা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে এটি ইস্যু করা হয়েছিল।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ প্রথমে বিষয়টি জানেন না বলে মন্তব্য করলেও পরে স্বীকার করেন যে, তাঁর অজান্তেই এটি করা হয়েছে এবং কোনো ধরনের কার্যক্রমে তা ব্যবহার হয়নি। তিনি ফেসবুকে এক পোস্টে বাবার ভুলের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন।
স্থানীয়দের প্রতিক্রিয়া
আকাবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শিমুল বিল্লাল জানান, লাইসেন্সের বিষয়ে কথা বলতে গেলে তিনি বিল্লাল হোসেনকে ছেলের সঙ্গে পরামর্শ করার পরামর্শ দিয়েছিলেন।
এলজিইডির কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল মতিন জানান, বিল্লাল হোসেন নিজেই লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছিলেন এবং কোনো কার্যক্রম পরিচালিত না হলেও পরে সেটি বাতিল করা হয়েছে।
সমালোচনা
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর কুমিল্লা সভাপতি শাহ মোহাম্মদ আলমগীর খান বলেন, একজন প্রধান শিক্ষক হিসেবে এমন লাইসেন্স নেয়া অনুচিত ছিল।
সনাক কুমিল্লার সাবেক সভাপতি বদরুল হুদা জেনু বলেন, “উনি না বুঝে করেছেন — এই ব্যাখ্যা জনসাধারণের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। দেশে এমন সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে, যেখানে ক্ষমতাসীনদের আত্মীয়রা নানা সুবিধা নেওয়ার সুযোগ খোঁজেন।”