
মিয়ানমারের বেসামরিক জনগণের জন্য মানবিক করিডোরের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করা প্রয়োজন ছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি এ সিদ্ধান্তকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একক উদ্যোগ বলে অভিহিত করেছেন।
সোমবার বিকেলে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের শেখ বাজার এলাকায় গণসংযোগকালে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, মিয়ানমারের বেসামরিক জনগণের জন্য মানবিক করিডোরের বিষয়টি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত ছিল।
তিনি বলেন, “মানুষকে সহায়তা করতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। জাতিগতভাবে সাহায্যের প্রয়োজন হলেও আমরা প্রস্তুত। তবে এমন উদ্যোগ অবশ্যই সকলের সমর্থনে নেওয়া উচিত। আমরা আরেকটি গাজায় পরিণত হতে চাই না, যুদ্ধেও জড়াতে চাই না। আমাদের দেশে অন্য কোনো পক্ষ এসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করুক, তা আমরা চাই না।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, রোহিঙ্গা সমস্যা আগে থেকেই দেশের জন্য বড় চাপ হয়ে আছে। তাই নতুন করে মানবিক করিডোর নিয়ে যাতে কোনো জটিলতা তৈরি না হয়, সে জন্য সবার সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি ছিল বলে মনে করেন তিনি
ভবিষ্যতে নির্বাচিত হতে পারলে বিএনপি কর্মসংস্থানকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেবে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, “বর্তমান সরকারের মূল দায়িত্ব হলো দেশে এমন একটি নির্বাচন আয়োজন করা, যেখানে সকল নাগরিক নির্ভয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। গত ১৫-১৬ বছরে আমরা ভোট দেওয়ার সুযোগ তো পাইনি, বরং ভোটকেন্দ্র পর্যন্ত পৌঁছাতেও পারিনি।”
এ সময় স্থানীয় বিএনপি নেতৃত্ব ও সাধারণ জনগণ সেখানে উপস্থিত ছিলেন।