
দুর্নীতির অভিযোগে গোপালগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ সেলিমের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রবিবার, দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন। তিনি জানান, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ সেলিমের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে ১,৩০০ কোটি টাকার টেন্ডার কাজের জন্য পছন্দের ঠিকাদারদের কাছ থেকে ১০-১৫ শতাংশ কমিশন নিয়ে কার্যাদেশ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে দুদক অনুসন্ধান শুরু করেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গোপালগঞ্জের ১১টি উন্নয়নকাজ ১১ প্যাকেজে ভাগ করে ঠিকাদার নির্ধারণ করা হত। এসব প্যাকেজের মধ্যে বাউন্ডারি ওয়াল, বিদ্যুতের সাব স্টেশন, গ্যালারি শেড, স্টেডিয়াম সংস্কার ও উন্নয়ন, হোস্টেল কাম অফিস ভবন, উইমেন স্পোর্টস কমপ্লেক্সে জিমনেসিয়াম, স্টেডিয়াম ও স্পোর্টস কমপ্লেক্সে গ্যালারি চেয়ার স্থাপনসহ নানা নির্মাণকাজ অন্তর্ভুক্ত ছিল। এর মধ্যে বিএফএল/এইচএলসি-জে/ভি নামে ১২ কোটি ২৩ লাখ ৯৯ হাজার, কিউ এইচ মাসুদ অ্যান্ড কোং নামে ১১ কোটি ৬০ লাখ ৩৯ হাজার, মেসার্স আনাম ট্রেডার্স নামে ১০ কোটি ২২ লাখ ৫৬ হাজার, এবং এ, এস-এ এটকো-জে/ভি নামে ৯ কোটি ৩৪ লাখ ৫৯ হাজার টাকার কাজ প্রদান করা হয়েছে।
দুর্নীতি অভিযোগে শেখ সেলিমের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান: আরও নতুন তথ্য
এ ছাড়া, মার্কেন্টাইল কর্পোরেশনের নামে ১১ কোটি ৬৭ লাখ ৬৩ হাজার, বিএফএল-এএলসিএল জে/ভি নামে ১৩ কোটি ৮৯ লাখ ২০ হাজার, কিউ এইচ মাসুদ অ্যান্ড কোং নামে ১৩ কোটি ৪৬ লাখ ৭৮ হাজার, এবং মেসার্স আনাম ট্রেডার্সের নামে ১১ কোটি ৭০ লাখ ৪২ হাজার টাকার কাজ দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে যে, গোপালগঞ্জের বাইরে চুয়াডাঙ্গা, খুলনা, হবিগঞ্জ, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ও নাটোরে বিভিন্ন ঠিকাদারি কাজের ভাগবাটোয়ারা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।