
পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে আমি বাংলাদেশের জনগণসহ বিশ্বের সব মুসলমানকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ঈদ মোবারক। এই পবিত্র দিনে আমি সবার জন্য শান্তি, সুখ ও কল্যাণ কামনা করি।
ঈদুল আযহা মূলত ত্যাগের প্রতীক। আল্লাহ তা’আলা কোরআনে বলেছেন, “তিনি মানুষের কোরবানির মাংস বা রক্ত গ্রহণ করেন না, বরং অন্তরের পবিত্রতা এবং খাঁটি নিয়তই গ্রহণ করেন।” এই উৎসব আমাদের শেখায়, কেবল পশু কোরবানির মধ্যে নয়, বরং আত্মত্যাগ, আত্মশুদ্ধি এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে আত্মনিবেদনই হলো এর প্রকৃত তাৎপর্য।
অসহিষ্ণুতা, মূল্যবৃদ্ধি, এবং সামাজিক সংকটের মাঝেও মানুষ যেন ঈদের আনন্দ অনুভব করতে পারে, সেজন্য আমাদের সবাইকে একে অন্যের পাশে দাঁড়াতে হবে। সাম্প্রতিক সময়ে দেশে কিছুটা স্বস্তির পরিবেশ তৈরি হলেও অতীতে ফ্যাসিবাদী শাসনে নৈতিকতা ও মূল্যবোধের যে অবক্ষয় হয়েছিল তা থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে।
আজকের এই পবিত্র দিনে আমাদের সমাজে ঐক্য, সম্প্রীতি ও মানবিকতা ছড়িয়ে দিতে হবে। ঈদ শুধুই উৎসব নয়, এটি সমাজে সংহতি সৃষ্টির এক মহা উপলক্ষ। ত্যাগের এই শিক্ষা যেন আমাদের ব্যক্তিজীবনেও প্রতিফলিত হয়—এই হোক ঈদের মূল বার্তা।
বর্তমান অর্থনৈতিক চাপে সমাজের বহু মানুষ কষ্টে রয়েছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, জ্বালানি সংকট এবং মৌলিক চাহিদা পূরণে ব্যর্থতার ফলে ঈদের আনন্দ অনেকের কাছে ধূসর হয়ে গেছে। তাই আমাদের সবার উচিত আশেপাশের মানুষের খেয়াল রাখা, যেন কেউ অভুক্ত না থাকে, কেউ ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত না হয়।
এই পবিত্র দিনে মহান আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করি—এই ঈদ যেন আমাদের জীবনে শান্তি, সৌহার্দ্য ও সমৃদ্ধি নিয়ে আসে।
আল্লাহ হাফেজ, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।”