
দীর্ঘ নয় বছর পর, ২০২৪ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রথমবারের মতো জন্মহার বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশটির দীর্ঘদিনের জনসংখ্যাগত সংকটের প্রেক্ষাপটে এই প্রবণতাকে গুরুত্বপূর্ণ ও ইতিবাচক উন্নতি হিসেবে দেখা হচ্ছে।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ায় বিয়ের হার বৃদ্ধির ফলে জন্মহারেও ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। এটি দেশটির দীর্ঘদিনের জনসংখ্যাগত সংকট কাটিয়ে ওঠার সম্ভাবনা জাগিয়েছে।
স্ট্যাটিস্টিকস কোরিয়ার তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে দেশটির জন্মহার বেড়ে দাঁড়িয়েছে শূন্য দশমিক ৭৫, যা দীর্ঘ সময় পর একটি আশাব্যঞ্জক প্রবণতা।
২০২৩ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার জন্মহার টানা আট বছর ধরে হ্রাস পেয়ে শূন্য দশমিক ৭২-এ পৌঁছেছিল, যা বৈশ্বিকভাবে সর্বনিম্ন ছিল। তুলনামূলকভাবে, ২০১৫ সালে এই হার ছিল এক দশমিক ২৪ শতাংশ।
জন্মহার বাড়াতে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার বেশ কিছু কার্যক্রম গ্রহণ করে। তরুণদের বিয়ে এবং সন্তান জন্মদানে উৎসাহিত করতে বিভিন্ন নীতি প্রণয়ন করা হয়।
স্ট্যাটিস্টিকস কোরিয়ার কর্মকর্তা পার্ক হিউন-জং এক ব্রিফিংয়ে জানান, বর্তমানে দেশটির সামাজিক মূল্যবোধে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। বিবাহ ও সন্তান ধারণের বিষয়ে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি আগের চেয়ে অনেক বেশি ইতিবাচক হয়েছে।
২০২৪ সালে জন্মহার বৃদ্ধির পেছনে বিয়ের হার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে, যা ১৪ দশমিক ৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে, করোনা মহামারির পর ২০২৩ সালে বিয়ের সংখ্যা ১১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়। (সূত্র: রয়টার্স)