বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতিতে আবারও সংকটের কালো মেঘ দেখা যাচ্ছে। দিল্লির আধিপত্যবাদ কিছু রাজনৈতিক নেতার ওপর প্রভাব বিস্তার করছে, যার ফলে তাঁরা আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের উদ্যোগ নিচ্ছেন।’
রোববার খুলনা প্রেসক্লাবের ব্যাংকুয়েট হলে জামায়াতে ইসলামীর খুলনা জেলা শাখা আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পরওয়ার আরও বলেন, ‘১৫ বছরের ফ্যাসিবাদের অবসান ঘটিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয়েছে। কিন্তু এখন আধিপত্যবাদ বিস্তারের নতুন ষড়যন্ত্র চলছে, ইসলামি শক্তিকে পৃথক করার অপচেষ্টাও করা হচ্ছে। আবু সাঈদ, মীর মুগ্ধসহ জুলাই আন্দোলনের শহীদরা দেখিয়ে গেছেন যে জীবন দিয়ে হলেও দেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তবে কোরআনের আইন ছাড়া প্রকৃত ন্যায়বিচার সম্ভব নয়।’
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরার সদস্য ও খুলনা জেলা আমির মাওলানা এমরান হুসাইনের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি মুন্সি মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত ইফতার মাহফিলে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন খুলনা-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ শাহ মুহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও খুলনা অঞ্চল টিম সদস্য মাস্টার শফিকুল আলম, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও খুলনা মহানগর আমীর মাহফুজুর রহমান, খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি এস এম শফিকুল আলম, জাগপার মহানগর সভাপতি মো. সালাহউদ্দিন, জামায়াতের মহানগরী নায়েবে আমির অধ্যাপক নজিবুর রহমান, জেলা নায়েবে আমির মাওলানা গোলাম সরোয়ার ও কবিরুল ইসলাম।
বক্তব্যে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, কোরআনের আইন ছাড়া ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রীয় জীবনে আল্লাহর আইন কার্যকর না হলে ব্যক্তিজীবনেও তা বাস্তবায়ন করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাই আগামী দিনের রাষ্ট্রকাঠামো যেন ইসলামের ভিত্তিতে, কোরআনের আলোকে গড়ে ওঠে—এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি। জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে একটি বরকতপূর্ণ দেশ গড়তে সবার প্রতি আহ্বান জানান পরওয়ার।
ইফতার মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের খুলনা মহানগর সেক্রেটারি শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন, সহকারী সেক্রেটারি শাহ আলম, কয়রা উপজেলা আমির মাওলানা মিজানুর রহমান, ডুমুরিয়া উপজেলা আমির মাওলানা মুক্তার হুসাইন, ফুলতলা উপজেলা আমির অধ্যাপক আবদুল আলিম মোল্লা, খানজাহান আলী থানা আমির সৈয়দ হাসান মাহমুদ, দিঘলিয়া উপজেলা আমির মাওলানা আবুল হাসান, রূপসা উপজেলা আমির মাওলানা লবিবুল ইসলাম, বটিয়াঘাটা উপজেলা আমির মাওলানা শেখ আবু ইউসুফ, দাকোপ উপজেলা আমির মাওলানা আবু সাঈদ, মহানগর ছাত্রশিবিরের সভাপতি আরাফাত হোসেন, দক্ষিণ জেলা সভাপতি আবু জার গিফারী, উত্তর জেলা সভাপতি আবু ইউসুফ ফকিরসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।