
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম বলেছেন, “সংবাদমাধ্যম যত বেশি প্রশ্ন করবে, রাষ্ট্রের দায়িত্বশীলরা তত বেশি সচেতন ও জবাবদিহিমূলক হবেন।”
তিনি বলেন, “এ কারণে সংবাদমাধ্যমকে প্রশ্ন করতেই হবে।”
রোববার রাজধানীর ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে ‘ব্রেভ নিউ বাংলাদেশ: রিফর্ম রোডম্যাপ ফর প্রেস ফ্রিডম’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে এই সেমিনার যৌথভাবে আয়োজন করে ইউনেস্কো ঢাকা অফিস, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এবং সুইডেন দূতাবাস।
বিজ্ঞাপনের হার ও মিডিয়া অনিয়ম প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, ডিএফপির সঙ্গে বিজ্ঞাপনের হার পুনর্নির্ধারণ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে অনেকেই ভুয়া প্রচারসংখ্যা দেখিয়ে সরকারের অর্থ অপচয় করেছেন। “যাদের প্রকৃত প্রচারসংখ্যা দুই হাজার না হলেও তারা এক লাখ বা দুই লাখ দেখিয়ে টাকা নিয়েছে—তাদের বিষয়ে তদন্ত করে তথ্য প্রকাশ করা হবে।”
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা ও আইন প্রণয়ন নিয়ে তিনি বলেন, রাজনৈতিক ঐকমত্য ছাড়া টেকসই সংবাদমাধ্যম স্বাধীনতা সম্ভব নয়। “আমরা যতই ভালো আইন করি না কেন, সরকার যদি তা বাস্তবায়নে আগ্রহী না হয়, তবে জনগণের অধিকার সুরক্ষিত হবে না।”
সাংবাদিক সুরক্ষা আইন সম্পর্কে তিনি বলেন, এটি তাৎক্ষণিকভাবে প্রণয়ন সম্ভব। তবে কিছু ধারা নিয়ে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করে তা চূড়ান্ত করে কেবিনেটে উপস্থাপন করা হবে।
সম্প্রচার নীতিমালা নিয়েও কথা বলেন উপদেষ্টা। তিনি জানান, টেলিভিশন ও অনলাইন গণমাধ্যমগুলোর লাইসেন্সিং ও মূল্যায়নের বিষয়টি পর্যালোচনা করে শিগগিরই সম্প্রচার নীতিমালা চূড়ান্ত করা হবে।
সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ, এএফপির ব্যুরো চিফ শেখ সাবিহা আলম, বিজেসি চেয়ারম্যান রেজওয়ানুল হক রাজা এবং টাইমস মিডিয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান ও এমডি এ কে আজাদ।
সঞ্চালনায় ছিলেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।