হিলি বন্দর দিয়ে ভারত থেকে এলো ২১ টন কচুর লতি

ভারত থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে এসেছে ২১ টন কচুর লতি।
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেড এলাকায় ভারত থেকে আমদানি করা কচুর লতি রাখা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

দেশের বাজারে সবজির চাহিদা পূরণে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে চলতি বছরে প্রথমবারের মতো ভারত থেকে কচুর লতি আমদানি করা হয়েছে। আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে কচুর লতিবোঝাই একটি ভারতীয় মিনি ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করে।

হিলি স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মেসার্স লিয়াকত অ্যান্ড সন্সের মাধ্যমে মেসার্স রোশনি ট্রেডার্স নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারত থেকে ১২ টন কচুর লতি আমদানি করে। এরপর বেলা সাড়ে তিনটার দিকে মেসার্স আরবিএস এন্টারপ্রাইজ নামের আরেকটি প্রতিষ্ঠান আরও ৯ টন কচুর লতি আমদানি করে।

ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে আমদানি করা হয়েছে এসব কচুর মুখি। হিলি স্থল শুল্কস্টেশন সূত্রে জানা গেছে, এর আগে গত বছরের ১৩ মে সর্বশেষ এ বন্দর দিয়ে কচুর মুখি আমদানি করা হয়েছিল।

আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স রোশনি ট্রেডার্সের ব্যবস্থাপক রাশেদুল ইসলাম জানান, দেশে এখনো দেশীয় জাতের কচুর মুখি বাজারে আসেনি, ফলে এর চাহিদা বেড়েছে। এ কারণে চলতি বছর প্রথমবারের মতো আজ তাদের প্রতিষ্ঠানের নামে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে একটি মিনি ট্রাকে ১২ টন কচুর মুখি আনা হয়েছে। তিনি আরও জানান, এসব কচুর মুখি ঢাকায় ট্রাকযোগে পাঠানো হয়েছে, যেখানে পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি ৮০ থেকে ৮৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

হিলি স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী কর্মকর্তা ইউসুফ আলী জানিয়েছেন, চলতি বছর প্রথমবারের মতো আজ ভারত থেকে কচুর মুখি আমদানি হয়েছে। তিনি বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয় মেসার্স রোশনি ট্রেডার্স ও মেসার্স আরএসবি এন্টারপ্রাইজ নামের দুটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে ২ হাজার ৫০০ টন কচুর মুখি আমদানির অনুমতি (আইপি) দিয়েছে।

আমদানির পর প্রতিষ্ঠান দুটি উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ দপ্তরে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে পণ্যের ছাড়পত্র গ্রহণ করেছে বলে জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *