চট্টগ্রামে অগ্নিকাণ্ডে ৫০টি দোকান, গুদাম ও বসতঘর পুড়ে গেছে।

চট্টগ্রামে অগ্নিকাণ্ডে ৫০টি দোকান, গুদাম ও বসতঘর পুড়ে গেছে।
চট্টগ্রাম নগরের মুরাদপুর আতুরার ডিপো এলাকায় আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্য ও সাধারণ লোকজন। আজ বিকেল ৫টায় -ছবি অনলাইন

চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ থানাধীন আতুরার ডিপো এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে ফলের আড়ত, দোকান, বসতঘর ও ঝুট কাপড়ের গুদাম। আজ রোববার বিকেলে আমিন জুট মিলের বিপরীতে মুরাদপুর সড়কের পাশে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি গাড়ি কাজ করছে।

শেষ খবর অনুযায়ী, আগুনে অন্তত ৫০টি দোকান, বসতঘর ও গুদাম পুড়ে গেছে। এসবের মধ্যে রয়েছে মুদিদোকান, পানদোকান, ফলের আড়ত, প্লাস্টিকের গুদাম, ঝুট কাপড়ের গুদাম, পোলট্রি ও গোখাদ্যের গুদাম।

ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, তারা বেলা ২টা ৫৮ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায়। এরপর ছয়টি গাড়ি আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। প্রাথমিকভাবে ঝুট কাপড়ের গুদাম থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। আগুনের কারণে মুরাদপুর–অক্সিজেন সড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আবদুর রাজ্জাক সন্ধ্যা ৭টায় প্রথম আলোকে বলেন, রাস্তার পাশের দোকানগুলোর পেছনে প্লাস্টিক, ঝুট কাপড়, মুরগি ও গোখাদ্যের গুদাম ছিল। গুদামের দিক থেকে আগুনের সূত্রপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগুন এখনও পুরোপুরি নেভানো যায়নি, তবে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ পর্যন্ত প্রায় ৫০টি দোকান, গুদাম ও বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পরও ফায়ার সার্ভিসের চারটি গাড়ি সেখানে কাজ করে যাচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, পুড়ে যাওয়া দোকানগুলোতে কলা, আপেলসহ নানা ফল পুড়ে কয়লা হয়ে গেছে। দোকানের দিক থেকে আগুন নিভে গেলেও দোকানগুলোর পেছনে বসতঘর ও গুদামে আগুন জ্বলছিল।

মন্টু সওদাগার নামে এক আড়তদার বলেন, “আগুন মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে আমার বেল, কলা ও আপেল পুড়ে গেছে। কিছু বের করা যায়নি। অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে।”

বশির উদ্দিন নামের অপর এক দোকানি বলেন, “দোকানের পেছনের দিকে গুদাম থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এরপর আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। বেলা দুইটার পরপর আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিস আসতে আসতে আগুন আরও বড় হয়ে যায়।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *