হালুয়াঘাটে বিএনপির মিলনমেলা, সরকারকে কাঠগড়ায় প্রিন্স

হালুয়াঘাটে বিএনপির মিলনমেলা, সরকারকে কাঠগড়ায় প্রিন্স

হালুয়াঘাট, ময়মনসিংহ
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স আজ ঈদ-উল-আযহার দ্বিতীয় দিনে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে এক ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে অংশ নেন। হালুয়াঘাট পৌর শহরের অগ্রযাত্রা কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত এই জমজমাট আয়োজনে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ছাড়াও নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, গারো, হাজং, হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিসহ মুক্তিযোদ্ধা ও চব্বিশের গণ অভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের পরিবারবর্গ।

সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স সবাইকে ব্যক্তিগতভাবে এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকেও ঈদের শুভেচ্ছা জানান।

নির্বাচন নিয়ে সরকারের সমালোচনা

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা গেলে ঈদ উদযাপন আরও প্রাণবন্ত হতো।” তিনি জানান, জনগণের প্রত্যাশা ছিল ডিসেম্বরের মধ্যেই নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের আয়োজন।

কিন্তু প্রধান উপদেষ্টা সম্প্রতি যে ঘোষণা দিয়েছেন, তাতে আগামী বছরের এপ্রিল মাসে নির্বাচনের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে—যা রাজনৈতিক দল ও জনগণের প্রত্যাশার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, “তত্ত্বাবধায়ক সরকার অতীতে তিন মাসেই নির্বাচন আয়োজন করেছে। তাহলে কেনো এখন তিনটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় পার করেও নির্বাচন করা সম্ভব হচ্ছে না?”

ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত

তিনি অভিযোগ করেন, সরকারের অভ্যন্তরে ও বাইরে কিছু মহল প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে ব্যবহার করে নির্বাচন প্রশ্নে ষড়যন্ত্র করছে।

তবে বিএনপি ও অধিকাংশ রাজনৈতিক দল এখনো তাঁর ওপর আস্থা রাখে এবং তাঁকে বিতর্ক এড়িয়ে দেশের বৃহৎ স্বার্থে দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত রোডম্যাপ ঘোষণার আহ্বান জানান প্রিন্স।

বিশিষ্টদের উপস্থিতি

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন—উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক এনায়েত উল্লাহ কালাম, উপজেলা জামায়াতের আমির মোয়াজ্জেম হোসেন, বিএনপির আহ্বায়ক আসলাম মিয়া বাবুল, সদস্য সচিব বদরুল কবীর, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক শাকের উল্লাহ, শিক্ষক নেতা আবুল মাস্টার, সুভাষ সাহা, সুব্রত রেমা, জয়দেব দত্ত, অপু সরকার, মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আমজাদ আলী, সাংবাদিক সুমন সুভ ও আব্দুর রজ্জাক, ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান, শহীদ বিজয় ফরাজীর পিতা সায়েদুল ফরাজীসহ দেড় সহস্রাধিক মানুষ।

অনুষ্ঠান শেষে অতিথিদের জন্য মধ্যাহ্নভোজের ব্যবস্থা করা হয়।

খেলাধুলায়ও অংশগ্রহণ

ঈদের রাতে সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স স্বদেশী ইউনিয়নের নশুল্লা বাজারে শহীদ জিয়া টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলার উদ্বোধন ও পুরস্কার বিতরণ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *