বিএনপির বাজেট বিষয়ক পর্যালোচনা: জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর প্রথম বাজেটে প্রত্যাশা ও প্রস্তাবনা

২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর প্রথম এবং আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে এটিই অন্তর্বর্তী সরকারের একমাত্র বাজেট। এই গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক পরিকল্পনা নিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) তাদের বাজেট বিষয়ক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে, যেখানে তারা জনগণের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন এবং বৈষম্যহীন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকারের ওপর জোর দিয়েছে।

বাজেটের রাজনৈতিক ও সামাজিক তাৎপর্য

বিএনপি তাদের বিবৃতিতে বলেছে যে, বার্ষিক বাজেট গণতন্ত্রের একটি মৌলিক স্তম্ভ এবং এটি রাজনৈতিক সরকারের জনগণের ম্যান্ডেট ও অগ্রাধিকার প্রতিফলিত করে। তারা উল্লেখ করে যে, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ, ১৯৯১ সালের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থান—সবই গণতন্ত্রের সংগ্রাম। একটি অবাধ ও সুষ্ঠু ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাই জনগণের মৌলিক অধিকারের আইনি কাঠামো প্রদান করেন।

দলটি মনে করে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আন্দোলনকারী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে ন্যূনতম জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে বাজেট প্রণয়ন করতে পারত। এতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ, বিশেষজ্ঞ, নাগরিক সমাজ, ব্যবসায়ী ও তরুণ প্রতিনিধিদের মতামত অন্তর্ভুক্ত করে বাজেটকে একটি সমন্বিত অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রতীক করে তোলা যেত। তবে, এই সুযোগটি কাজে লাগানো হয়নি বলে বিএনপি অভিযোগ করেছে।

অর্থনৈতিক দুর্বলতা ও বিএনপির পর্যবেক্ষণ

বিএনপির মতে, স্বৈরাচারী সরকারের জন-বান্ধবহীন নীতি কাঠামোর কারণে সৃষ্ট দীর্ঘমেয়াদী উচ্চ মূল্যস্ফীতি সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় সংকট তৈরি করেছে। মজুরি বৃদ্ধির হার মূল্যস্ফীতির নিচে থাকায় প্রকৃত আয় কমেছে এবং দারিদ্র্য বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ স্থবির হওয়ায় কর্মসংস্থান কমেছে, যা সমাজে ভাঙন সৃষ্টি করছে। কৃষি উৎপাদন প্রবৃদ্ধি সর্বনিম্ন হওয়ায় খাদ্য নিরাপত্তাও হুমকির মুখে।

শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষির মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতে বরাদ্দ কমানোকে উদ্বেগজনক বলে অভিহিত করেছে বিএনপি। তারা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, কলেজ ও স্কুলগুলোকে পূর্ণাঙ্গ কর মওকুফের আওতায় আনার প্রস্তাব করেছে। দলটির দাবি, অপর্যাপ্ত ও দুর্নীতিগ্রস্ত সামাজিক সুরক্ষা খাতে সরকারি বরাদ্দ এখনও যথেষ্ট নয়।

অর্থনৈতিক কাঠামোর দুর্বলতা সমাধানে সুনির্দিষ্ট রূপরেখার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে বিএনপি বলেছে যে, বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধির পথ-নকশা, শিল্প কারখানা স্থাপন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষিতে অগ্রাধিকার দেওয়া জরুরি ছিল। বিশাল সুদের হার এবং অতিরিক্ত কর ও শুল্ক উৎপাদনশীল খাতে চাপ সৃষ্টি করবে বলে তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছে।

ব্যবসা পরিচালনার ব্যয় কমানো, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা হ্রাস এবং ‘কস্ট অব ডুয়িং বিজনেস’ কমানোর কোনো নির্দিষ্ট পরিকল্পনা না থাকায় উদ্যোক্তারা অনিশ্চিত পরিস্থিতির মুখোমুখি হবেন বলেও বিএনপি মনে করে। অনলাইন ব্যবসার ওপর শুল্ক বাড়ানোয় ডিজিটাল উদ্যোক্তাদের চাপ বাড়বে এবং উদ্ভাবন নিরুৎসাহিত হবে।

আর্থিক খাতের ভঙ্গুরতা, খেলাপি ঋণ আদায় না হওয়া, অর্থ পাচার রোধে ব্যর্থতা এবং কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়াকে নেতিবাচক দিক হিসেবে চিহ্নিত করেছে বিএনপি। তাদের মতে, এটি নিয়মিত করদাতাদের প্রতি অবিচার এবং কর ব্যবস্থার প্রতি আস্থা কমাতে পারে। ভ্যাট বৃদ্ধির মাধ্যমে করের বোঝা সাধারণ জনগণের কাঁধে চাপানো হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।

বিএনপির ১৮০ দিনের পরিকল্পনা: কর্মসংস্থানমুখী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার

বিএনপি তাদের বিবৃতিতে একটি স্বচ্ছ, অংশগ্রহণমূলক ও উদ্ভাবনী অর্থনৈতিক পরিকল্পনার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেছে। তারা জানিয়েছে, জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠনের পর প্রথম ১৮০ দিনের মধ্যে তারা একটি ‘অ্যাকশন-ওরিয়েন্টেড রোডম্যাপ’ প্রণয়ন করবে। তাদের প্রধান অঙ্গীকার হলো এক কোটি মানুষের জন্য নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি।

৬ মাসের এই পরিকল্পনার সার-সংক্ষেপ নিচে দেওয়া হলো:

  • শিক্ষা ব্যবস্থা: প্রাথমিক শিক্ষকদের অর্থনৈতিক সুবিধা ও সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি, বাস্তবানুগ শিক্ষাক্রম চালু, স্বল্পমেয়াদি ‘ট্রেড কোর্স’ এবং এপ্রেন্টিসশিপ/ইন্টার্নশিপ চালু করে কর্মসংস্থান সৃষ্টি।
  • স্বাস্থ্য সেবা: রোগ প্রতিরোধে গুরুত্ব, টিকাদান, স্বাস্থ্য শিক্ষা, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের বিশেষ প্রশিক্ষণ, এবং নিরাপদ পানি সরবরাহের জন্য আধুনিক ব্যবস্থা গ্রহণ।
  • নারীর ক্ষমতায়ন: ৫০ লক্ষ দরিদ্র গ্রামীণ পরিবারের জন্য ‘ফ্যামিলি কার্ড’ চালু (নারী প্রধানের নামে), নারীদের নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব এবং ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্পে নারীদের জন্য স্বল্প সুদে ঋণের ব্যবস্থা।
  • শহীদদের স্বীকৃতি: জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের শহীদদের তালিকা প্রস্তুত, তাদের নামে সরকারি স্থাপনার নামকরণ এবং শহীদ পরিবার ও ক্ষতিগ্রস্তদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও অর্থনৈতিক সহায়তা।
  • কৃষি খাত ও গ্রামীণ উন্নয়ন: ‘ফার্মার্স কার্ড’ চালু, বর্গাচাষি ও ক্ষুদ্র কৃষকদের জন্য উৎপাদন খরচ বহন, ন্যায্যমূল্যে কৃষিপণ্য ক্রয়, কোল্ড স্টোরেজ নির্মাণ, কৃষিজাত পণ্য রপ্তানিমুখীন করা, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ এবং খাল খনন কর্মসূচি।
  • শিল্প খাত: বিনিয়োগ বান্ধব নীতি গ্রহণ, ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস’ বাস্তবায়ন, কৃষি, মৎস্য ও অন্যান্য উৎপাদনমুখী খাতকে প্রাধান্য এবং বন্ধ হয়ে যাওয়া মাঝারি ও বৃহৎ শিল্পসমূহ পুনরায় চালুর উদ্যোগ।
  • তথ্যপ্রযুক্তি খাত: ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উন্নয়নে প্রোডাকশন ফেসিলিটি ও ট্রেনিং প্রোগ্রাম, বাংলাদেশে ফেসবুক, গুগল, ইউটিউব অফিস খোলা এবং ফ্রিল্যান্সারদের জন্য পেপাল ও অন্যান্য পেমেন্ট মেথড চালুর উদ্যোগ।
  • প্রবাসী কল্যাণ: প্রবাসী শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও হয়রানিমুক্ত সেবা, প্রবাসীদের বিনিয়োগে উৎসাহ, এবং দক্ষ জনশক্তি বিদেশে রপ্তানির জন্য প্রকল্প গ্রহণ।
  • নগর ব্যবস্থাপনা: ঢাকার বিভিন্ন রুটে ‘শুধুমাত্র নারী যাত্রী’ বাস চালু, ট্রাফিক সমস্যার সমাধানে বিশেষজ্ঞ সমন্বয়ে কার্যকর পরিকল্পনা গ্রহণ এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার।
  • পরিবেশ ব্যবস্থাপনা: ৫ বছরে ২৫ থেকে ৩০ কোটি বৃক্ষ রোপনের কর্মসূচি, প্রতিটি ইউনিয়ন ও থানায় উন্মুক্ত মাঠের সংখ্যা বৃদ্ধি, পলিথিন নিষিদ্ধ করে পাটজাত ব্যাগকে উৎসাহিত করা।
  • আইন-শৃঙ্খলা: ধর্ষণ, ছিনতাই, রাহাজানিসহ সকল নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স, বিচারহীনতার অবসান এবং মাঠপর্যায়ের পুলিশের মনোবল বৃদ্ধিতে পদক্ষেপ।

কর্মসংস্থানমুখী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার ও বেসরকারি খাতের প্রবৃদ্ধি

বিএনপি সরকার গঠন করলে ১ কোটি মানুষের জন্য নতুন কর্মের সংস্থান করার অঙ্গীকার করেছে। তারা অতীতের উদাহরণ টেনে বলেছে যে, তাদের শাসনামলে শ্রমঘন শিল্প স্থাপন ও উদ্বৃত্ত শ্রম বিদেশে রপ্তানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রেখেছিল। বিএনপি জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৮% নির্ধারণ করেছে এবং অবকাঠামোগত উন্নয়ন, ম্যানুফ্যাকচারিং, কৃষি, বিদেশে শ্রম রপ্তানি, আইসিটি ও ফ্রিল্যান্সিং, সেবা খাত, সবুজ জ্বালানি, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পসহ ১০টি খাতকে অগ্রাধিকার দেবে।

বেসরকারি খাতের প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে বিএনপির কৌশল:

  • নিয়ন্ত্রণমূলক কাঠামো সহজীকরণ: ব্যবসায় নিবন্ধন, কর আনুগত্য এবং লাইসেন্সিং প্রক্রিয়া সহজ করবে।
  • অর্থায়নের সুযোগ বৃদ্ধি: ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ এবং স্টার্টআপগুলির জন্য ঋণ সুবিধা প্রসারিত করবে, ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিম চালু করবে এবং ভেঞ্চার ক্যাপিটাল উৎসাহিত করবে।
  • অবকাঠামো ও শিল্প অঞ্চলে বিনিয়োগ: দক্ষ অবকাঠামো গড়ে তোলা এবং বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন ও সম্প্রসারণ।
  • বহুমুখীকরণ, উৎপাদনশীলতা ও উদ্ভাবন: রপ্তানিতে বৈচিত্র্য আনা এবং গবেষণা ও উন্নয়নকে উৎসাহিত করা।
  • আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতা: ব্যাংকিং খাতের সুশাসন উন্নত করা, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বাড়ানো এবং পুঁজিবাজারের বিকাশ।
  • ব্যাংকিং খাতকে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগের জন্য সহজীকরণ: ঋণ প্রক্রিয়া সহজ করা, নগদ প্রবাহ-ভিত্তিক ঋণকে গুরুত্ব দেওয়া এবং গ্রামীণ উদ্যোক্তা ও নারী পরিচালিত উদ্যোগগুলোতে এজেন্ট ও মোবাইল ব্যাংকিং সেবা বাড়ানো।
  • পুঁজিবাজারের উন্নতি: তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর স্বচ্ছতার নিয়ম জোরদার করা, বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়ানো এবং ডিজিটাল ট্রেডিং প্ল্যাটফর্মের আধুনিকীকরণ।
  • আর্থিক পণ্যের বহুমুখীকরণ: লিজ ও ফ্যাক্টরিং, ভেঞ্চার ক্যাপিটাল, ইসলামিক আর্থিক পণ্য, সবুজ বন্ড এবং ডিজিটাল ঋণ অন্তর্ভুক্ত করা।
  • জ্বালানি ও বিদ্যুৎ কৌশল: প্রাকৃতিক গ্যাস, সৌর, জলবিদ্যুৎ ও প্রযুক্তির সমন্বয়ে একটি টাস্কফোর্স গঠন এবং নবায়নযোগ্য শক্তিতে বিনিয়োগকারীদের জন্য কর প্রণোদনা।
  • নীল অর্থনীতি: সামুদ্রিক সম্পদের টেকসই ব্যবহার, মৎস্য ও সামুদ্রিক খাদ্য, নৌপরিবহন, অফশোর গ্যাস, নবায়নযোগ্য শক্তি, পর্যটন, গবেষণা ও প্রযুক্তিতে জোর।
  • সৃজনশীল শিল্প অর্থনীতি: চলচ্চিত্র, সঙ্গীত, অ্যানিমেশন, গেমিং, ওটিটি প্ল্যাটফর্ম এবং ইনফ্লুয়েন্সার অর্থনীতিতে গুরুত্ব।
  • বাণিজ্য সহজীকরণ ও শুল্ক পদ্ধতি: শুল্ক পদ্ধতি সহজ করা, শুল্ক শ্রেণিবিন্যাস ডিজিটাইজ করা এবং আমদানি প্রক্রিয়া দ্রুততর করা।
  • ডিজিটাল আর্থিক সেবার ব্যবহার বৃদ্ধি: মোবাইল আর্থিক সেবা সক্রিয় করা এবং ডিজিটাল পেমেন্ট সহজলভ্য করা।
  • কর্পোরেট গভর্ন্যান্স ও সামাজিক দায়বদ্ধতা: কর্পোরেট গভর্ন্যান্স শক্তিশালী করা এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা অনুশীলনে জোর দেওয়া।
  • পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) শক্তিশালীকরণ: কার্যকর পিপিপি নীতি তৈরি ও বাস্তবায়ন করা।
  • জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা ও সবুজ প্রবৃদ্ধি: জলবায়ু সহনশীলতা অন্তর্ভুক্ত করা এবং অভিযোজন ও প্রশমন প্রকল্পে বিনিয়োগ আকর্ষণ।

ঋণ ব্যবস্থাপনা ও রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি

বিএনপি ঋণ কমাতে ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণ বাড়ানোর কৌশলও নির্ধারণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে:

  • ঋণ ব্যবস্থাপনা কৌশল: সরকারি ঋণের গঠনগত উন্নয়ন এবং স্বল্পমেয়াদি ঋণের ওপর নির্ভরতা হ্রাস।
  • ব্যয় অগ্রাধিকরণ ও দক্ষতা বৃদ্ধি: অভ্যন্তরীণ সুদ পরিশোধ ও পরিচালন ব্যয় নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ।
  • অবৈধ ঋণ পর্যালোচনা ও বাতিলকরণ: স্বৈরতান্ত্রিক শাসনকালে গৃহীত সকল ঋণ পর্যালোচনা ও বাতিলকরণ প্রক্রিয়ার জন্য জাতিসংঘের মহাসচিবের কাছে একটি স্বাধীন কমিশন গঠনের অনুরোধ।
  • রাজস্ব ব্যবস্থার যুগোপযোগীকরণ: এনবিআরকে একটি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা দ্বারা প্রতিস্থাপন, ‘বাংলাদেশ কর ও শুল্ক কমিশন’ গঠন এবং ‘কর কোড’ আধুনিকায়ন।
  • প্রযুক্তিনির্ভর নজরদারি ব্যবস্থা: প্রযুক্তিনির্ভর ড্যাশবোর্ড, ব্লকচেইন-ভিত্তিক ট্র্যাকিং এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চালিত ঝুঁকি মূল্যায়ন।
  • সবুজ কর কাঠামো: উচ্চ কার্বন নিঃসরণকারী শিল্পের ওপর কার্বন কর আরোপ।
  • কার্যকর ট্রান্সফার প্রাইসিং আইন: বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর জন্য কঠোর নিয়ম।

বাজেট প্রক্রিয়ার সংস্কার

বিএনপি বাজেট অনুমোদনের জন্য প্রচলিত সাংবিধানিক পদ্ধতি, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার কথা বলেছে। তারা সংসদীয় তদারকি শক্তিশালী করার জন্য মৌলিক সাংবিধানিক ও পদ্ধতিগত সংস্কারেরও প্রস্তাব করেছে, যার মধ্যে সংসদীয় কমিটিকে শক্তিশালী করা এবং নির্বাচনপূর্ব কেয়ারটেকার সরকারের জন্য স্পষ্ট নির্দেশিকা অন্তর্ভুক্ত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *