
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থা জানুয়ারি থেকে জুন মাসের মধ্যে মোট ১.২৫ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ প্রস্তাব গ্রহণ করেছে।
বিনিয়োগ সমন্বয় কমিটির ৫ম সভায় প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ের আন্তর্জাতিক বিষয় সংক্রান্ত বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে এই তথ্য জানানো হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ আবদুর রহমান খান।
প্রাপ্ত বিনিয়োগ প্রস্তাবের মধ্যে বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ ৪৬৫ মিলিয়ন ডলার। স্থানীয় বিনিয়োগ হয়েছে ৭০০ মিলিয়ন এবং যৌথ বিনিয়োগের পরিমাণ ৮৫ মিলিয়ন ডলার। বিদেশি বিনিয়োগের মধ্যে চীনের প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে ৩৩০ মিলিয়ন ডলারের প্রস্তাব এসেছে। এছাড়া সিঙ্গাপুর, যুক্তরাষ্ট্র ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিষ্ঠানগুলোও উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে।
সভায় জানানো হয়, ১.২৫ বিলিয়ন ডলারের প্রস্তাবের মধ্যে ২৩১ মিলিয়ন ডলার ইতিমধ্যেই চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। প্রাথমিক প্রস্তাব থেকে চূড়ান্ত পর্যায়ে রূপান্তরের হার প্রায় ১৮ শতাংশ, যা বৈশ্বিক গড়ের ১৫-২০ শতাংশের কাছাকাছি।
চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার জট কমানো বিষয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। বন্দরে প্রায় ৬,৫০০ কন্টেইনার দীর্ঘদিন ধরে আটকে আছে। চলতি সরকারের সময়ে গত দুই মাসে ১,০০০ কন্টেইনার নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। আগামী মাসে আরও ৫০০ কন্টেইনার নিলামে তোলার কাজ চলছে এবং নিলামের পণ্য হস্তান্তরের কার্যক্রমও অব্যাহত রয়েছে।
বৈঠকে বাংলাদেশ বিজনেস পোর্টাল (বিবিপি) চালুর অগ্রগতি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। বিডা, বেজা, বেপজা ও বিসিক-এর বিভিন্ন পরিষেবা একত্রিত করে তৈরি এই অনলাইন প্ল্যাটফর্মের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আগামী সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে সফট লঞ্চ এবং মাসের শেষে সম্পূর্ণ কার্যক্রম শুরু করা হবে।
সভায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজ এবং অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।