
শুক্রবার (৯ মে) বিকেল ৫টা থেকে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে থেকে বিক্ষোভ ও শাহবাগ অবরোধ কর্মসূচির সূচনা করে ছাত্র ও জনতার একটি বিপ্লবী অংশ। এ সময় অংশগ্রহণকারীরা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নানা স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠেন। তাঁদের স্লোগানে ছিল— ‘একটা একটা লীগ ধরে জেলে ভর’, ‘আপস নয়, সংগ্রাম চলবে’, ‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন ভারতে’, ‘যুদ্ধ শেষ নয়, আবু সাঈদ মুগ্ধ’, ‘ওয়ান, টু, থ্রি, ফোর – আওয়ামী লীগ আর নয়’ ইত্যাদি।
ছাত্র ও জনতার দাবি ছিল, জুলাই-আগস্টের গণ-আন্দোলনের পর তাঁদের ম্যান্ডেট অনুযায়ী নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হোক। সেই সরকারের প্রধান দায়িত্ব হওয়া উচিত ছিল শাপলা চত্বর, পিলখানা ও জুলাই-আগস্টের গণহত্যার দায়ীদের— বিশেষ করে আওয়ামী লীগের মতো অভিযুক্ত রাজনৈতিক সংগঠনের— রাজনীতি নিষিদ্ধ এবং বিচারের আওতায় আনা।
রাত ১টা পর্যন্তও সরেজমিনে শাহবাগে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ ও অবরোধ কর্মসূচি অব্যাহত দেখা যায়, যা ইতিমধ্যে টানা ১০ ঘণ্টা অতিক্রম করেছে। সেখানে একটি প্রজেক্টরের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের নানা তথ্যচিত্র দেখানো হয়, যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ও সচেতন ছাত্র সমাজের কাছে ইতিহাস স্পষ্টভাবে তুলে ধরা যায়।
দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বে না বলে হুঁশিয়ারি দেন আন্দোলনকারীরা।