
স্টাফ রিপোর্টার | “দেশী বার্তা
সাইবেরিয়ান প্রজাতির পোষা বিড়াল ‘জেবু’র বেড়ে ওঠার গল্প জানিয়েছেন জাইমা রহমান। তার ভেরিফায়ড ফেসবুক পেজে তিনি বর্ণনা করেছেন, কীভাবে ছোট্ট জেবু বড় হয়েছে, তার দৈনন্দিন রুটিন কেমন, এবং তার স্বভাব-প্রকৃতি ইত্যাদি নানা দিক। জাইমা রহমান লিখেছেন, জেবুকে ঘিরে এত কৌতূহল দেখে তিনি অবাকও হয়েছেন এবং মজা পেয়েছেন। তিনি ভাবছেন, কেমন হতো যদি জেবু বিষয়টি বুঝতে পারত! ২৫ ডিসেম্বর, দীর্ঘ ১৭ বছর পর তারেক রহমান স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও কন্যা জাইমা রহমানকে নিয়ে দেশে ফিরে আসেন। এই ভ্রমণে তার সঙ্গে এসেছেন জেবু নামের এক সেলিব্রিটি বিড়ালও, যেটির ছবি বর্তমানে সামাজিক মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। জেবু রাশিয়ায় উৎপত্তি হওয়া সাইবেরিয়ান প্রজাতির। বয়স প্রায় সাত বছর। এই প্রজাতির বিড়াল বড় আকারের, শরীরজুড়ে ঘন ও নরম তিন স্তরের লোম থাকে। স্বভাব শান্ত হলেও তারা আত্মবিশ্বাসী এবং মানুষের আবেগ বোঝার ক্ষমতাসম্পন্ন। এজন্য অনেকেই সাইবেরিয়ান বিড়ালকে ‘ইমোশনাল কম্প্যানিয়ন’ হিসেবে বিবেচনা করেন। জাইমা বলেন, “যে কোনো প্রাণী লালন-পালন করা একটি বড় দায়িত্ব। প্রথম যখন জেবুকে ছোট্ট বিড়ালছানা হিসেবে এনেছিলাম, ভাবিনি সে আমাদের পরিবারের এত গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হবে। এমনকি আমার বাবা-মা বাসায় ফিরে প্রথমে জেবুর খবর নিতেন, তারপর আমার!” তিনি আরও জানান, যখন তার মা বাগানে বা পাড়ায় হাঁটতে যেতেন, জেবু চারপাশে লাফিয়ে বেড়াত। জাইমা উল্লেখ করেছেন, জেবু সন্ধ্যায় তার বাবা অনলাইন মিটিং শেষে তার কোলে বসে আর হাত বুলানোর আদর উপভোগ করত। তার সাথে জাইমার সম্পর্কও খুব নিবিড়; জেবু যেন তার মনের অবস্থা বুঝে পা ও কোমল স্পর্শ দিয়ে সঙ্গ দিত। প্রাণীপ্রেমীদের মতে, পোষা প্রাণী নিয়ে নতুন পরিবেশে মানিয়ে নেওয়া কঠিন। জেবু এখন মহাদেশ পেরিয়ে একেবারে নতুন পরিবেশে এসেছে। এই পরিবর্তন তার জন্য বড় এবং কিছুটা কষ্টকর, যা পরিবারের পক্ষ থেকেও পুরোপুরি বোঝা যায় না। জাইমা বলেন, জেবুর বিশেষ যত্ন ও আদরের কারণে পরিবার সবাই ধৈর্য এবং বড়-ছোট সব প্রাণীর প্রতি মমতা শিখেছে। ভাষার সীমা ছাড়িয়ে ভালোবাসা ও যত্ন নেওয়ার সৌন্দর্যও বোঝা গেছে। তিনি মনে করেন, যে মানুষ অন্য জীবের দায়িত্ব নেওয়ার সুযোগ পায়, সে নিজের সম্পর্কে অনেক কিছু শেখে যা আগে কল্পনাও করত না। জাইমা আরও জানান, জেবু কখনো সাধারণভাবে ‘মিউ মিউ’ করে না। খুশি বা অবাক হলে পাখির মতো নরমভাবে ডাকে। অনুমতি ছাড়া কোলে নিলে হালকা বিরক্তিতে ‘গোঁ গোঁ’ করে, আর যারা তাকে পছন্দ করে না, তাদের দিকে সে জোরে চিৎকার করে।