
খাগড়াছড়ি শহরের চেঙ্গী স্কয়ার এলাকায় ইউপিডিএফ (প্রসিত গ্রুপ) ও ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) এর মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে এই ঘটনা ঘটে, যা শহরের পরিবেশকে কিছু সময়ের জন্য উত্তপ্ত করে তোলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল থেকেই দুই পক্ষ চেঙ্গী স্কয়ারে অবস্থান নেয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষ ইটপাটকেল ও গুলতি নিক্ষেপে লিপ্ত হয়, যার ফলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
ইউপিডিএফ (প্রসিত গ্রুপ) দাবি করেছে, তারা ‘ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতন দিবস’ উপলক্ষে একটি বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করেছিল। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে একটি মিছিল সদর উপজেলা পরিষদ মাঠ থেকে সমাবেশস্থলে পৌঁছালে প্রতিপক্ষের হামলায় অনাদি চাকমা নামে এক নারী সদস্য আহত হন।
সংগঠনের জেলা সংগঠক অংগ মারমা বলেন, “সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় থাকা একটি প্রতিক্রিয়াশীল অংশ শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে এবং গুলি পর্যন্ত করেছে।”
অন্যদিকে ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) পক্ষ থেকে পাল্টা দাবি করা হয়, তারা পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে ৫ আগস্ট উপলক্ষে একটি আনন্দ মিছিল বের করেছিল। চেঙ্গী স্কয়ার এলাকায় পৌঁছালে ইউপিডিএফ (প্রসিত গ্রুপ) প্রথমে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে, যা পরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় রূপ নেয়।
তবে গুলির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অমর জ্যোতি চাকমা। তিনি বলেন, “গুলির কোনো ঘটনা ঘটেনি। কেউ দৌড়াতে গিয়ে পড়ে গিয়ে আহত হয়ে থাকতে পারে।”
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বাতেন মৃধা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “ইউপিডিএফের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিতে শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।”