
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কারোপ নিয়ে একের পর এক নতুন ঘোষণায় বিশ্ববাজারে অস্থিরতা আরও বেড়েছে। এবার ওষুধসহ ট্রাক ও আসবাবপত্রে নতুন শুল্ক চাপালেন ট্রাম্প। খবর রয়টার্সের।
বৃহস্পতিবার এক ঘোষণায় ট্রাম্প আমদানি করা বেশ কয়েকটি পণ্যে নতুন শুল্ক আরোপের কথা জানান, যা আগামী ১ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে।
- ওষুধ: আমদানি করা ব্র্যান্ডেড বা পেটেন্ট ওষুধের ওপর ১০০% শুল্কারোপ করা হবে। তবে যে কোম্পানি যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদন কারখানা তৈরি শুরু করবে, তারা শুল্কছাড় পাবে।
- অন্যান্য পণ্য: ভারী ট্রাকের ওপর ২৫%, রান্নাঘরের কেবিনেটের ওপর ৫০%, বাথরুমের ভ্যানিটির ওপর ৫০% এবং কিছু আসবাবের ওপর ৩০% শুল্ক আরোপ করা হবে।
ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যালে’ লিখেছেন, এসব পণ্য বিপুল পরিমাণে আমদানি হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় উৎপাদকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
ট্রাম্পের এই নীতি শুধু নির্দিষ্ট পণ্যের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। তিনি রাশিয়া থেকে তেল কেনার দায়ে চীনের ওপর ৫০ থেকে ১০০ শতাংশ শুল্কারোপ করতে ন্যাটো জোটভুক্ত দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
এ নিয়ে অসন্তুষ্ট চীন। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই ট্রাম্পের সমালোচনা করে বলেছেন, “চীন ও ইউরোপের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা উচিত নয়; বরং বন্ধু হওয়া উচিত। একে অপরের মুখোমুখি হওয়ার পরিবর্তে সহযোগিতা করা উচিত।”
এছাড়াও, ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কযুদ্ধ চলছে। অন্যদিকে, সম্পর্কের টানাপড়েনে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ হচ্ছে পাকিস্তান।
একের পর এক ট্রাম্পের ‘ঝড়ো নীতির’ কারণে আমদানি-রপ্তানি চ্যালেঞ্জের মুখে থাকায় ব্যবসায়ীরা মহা বেকায়দায় পড়েছেন। আগাম ভবিষ্যদ্বাণী করা কঠিন হওয়ায় বিনিয়োগকারীরাও বড় সিদ্ধান্ত নিতে ভরসা পাচ্ছেন না।