তত্ত্বাবধায়ক প্রধান নিয়োগে একমত অধিকাংশ দল: অধ্যাপক আলী রীয়াজ

তত্ত্বাবধায়ক প্রধান নিয়োগে একমত অধিকাংশ দল: অধ্যাপক আলী রীয়াজ

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগের পদ্ধতি নিয়ে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। শুক্রবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে ১৫তম দিনের আলোচনার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।

অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, “আলোচনার প্রথমার্ধে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে বিশদ আলোচনা করা হয়। দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে একটি সংশোধিত সমন্বিত প্রস্তাব তৈরি করে কমিশন তাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। এই প্রস্তাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগের প্রক্রিয়া বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে এবং অধিকাংশ দল এতে সম্মতি জানিয়েছে।”

তিনি আরও জানান, খসড়া প্রস্তাবের ভাষাগত ও কারিগরি দিক বিশ্লেষণ শেষে দলগুলোর মতামতের আলোকে আগামী মঙ্গলবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

আলোচনায় অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ছিল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি আন্দোলন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি এবং আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি—মোট ৩০টি রাজনৈতিক দল।

সংলাপের বাইরে এক মানববন্ধন প্রসঙ্গে আলী রীয়াজ বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের দাবি যথার্থ। কমিশন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সহানুভূতি প্রকাশ করছে এবং কর্মসূচির প্রতি আন্তরিক সংহতি জানাচ্ছে।”

কমিশনের কাজের অগ্রগতির বিষয়ে তিনি বলেন, “১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজনৈতিক সংলাপ শুরু হয়েছে। প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনায় ইতোমধ্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আলোচনা অব্যাহত থাকলে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে একটি জাতীয় সনদ চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে।”

উচ্চকক্ষ গঠন প্রসঙ্গে তিনি জানান, এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতানৈক্য না থাকলেও কৌশলগত দিক নিয়ে দুটি ভিন্ন প্রস্তাব রয়েছে। এই বিষয়ে কমিশনকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে।

এ সময় কমিশনের অন্যান্য সদস্য বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *