
‘সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ–২০২৫’-এর চারটি ধারা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করা হয়েছে। এক আইনজীবী আবেদনকারী হিসেবে আজ বুধবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট দাখিল করেন।
এর আগে, সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগে বিচারক নিয়োগের জন্য যোগ্য ব্যক্তি বাছাই করে প্রধান বিচারপতির মাধ্যমে রাষ্ট্রপতিকে পরামর্শ দেওয়ার লক্ষ্যে আইন মন্ত্রণালয় গত ২১ জানুয়ারি এই অধ্যাদেশের গেজেট প্রকাশ করে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আজমল হোসেন গত ২৩ জানুয়ারি ওই অধ্যাদেশের কয়েকটি ধারা সংশোধনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আইনি নোটিশ পাঠান। এতে তিন দিনের মধ্যে পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নোটিশের কোনো জবাব না পাওয়ায় আজ হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদন করেন মো. আজমল হোসেন। তিনি প্রথম আলোকে জানান, অধ্যাদেশের ৩, ৪, ৬ ও ৯ ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিটটি করা হয়েছে। এ রিটের শুনানি আগামী সপ্তাহে হতে পারে।
অধ্যাদেশের ৩ ধারায় কাউন্সিল গঠন, ৪ ধারায় কাউন্সিল সচিবের ভূমিকা, ৬ ধারায় কাউন্সিলের ক্ষমতা ও কার্যক্রম, এবং ৯ ধারায় আপিল বিভাগের বিচারক নিয়োগ সংক্রান্ত সুপারিশের বিষয়ে উল্লেখ রয়েছে।
রিটের প্রার্থনায় উল্লেখ করা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট ধারাগুলো কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, সে বিষয়ে রুল জারির আবেদন করা হয়েছে। পাশাপাশি, রুল জারি হলে বিচারাধীন অবস্থায় অধ্যাদেশটির কার্যকারিতা স্থগিত রাখার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এ রিটে আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।