একটি ছাড়া সব নৌযান আটক, গাজার কাছে ভাসছে সুমুদ ফ্লোটিলার শেষ জাহাজ

একটি ছাড়া সব নৌযান আটক, গাজার কাছে ভাসছে সুমুদ ফ্লোটিলার শেষ জাহাজ

ইসরায়েলি সামুদ্রিক অবরোধ ভাঙার বহু প্রত্যাশা নিয়ে গাজার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছিল গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার বিশাল বহর। ৪৪টি নৌযানে গঠিত এই বহরের প্রায় সব জাহাজই এখন ইসরায়েলের দখলে। শেষ পর্যন্ত টিকে আছে মাত্র একটি নৌযান, যা গাজার জলসীমার খুব কাছাকাছি অবস্থান করছে। ইসরায়েল বলছে, অল্প সময়ের মধ্যেই এই পর্বও শেষ হবে।

দ্য টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদনে জানানো হয়, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি অবরোধ ভাঙার প্রচেষ্টা কোনো বড় ঘটনা ছাড়াই শেষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার ‘উস্কানি’ শেষ হয়েছে এবং কোনো নৌযান সক্রিয় যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশ বা বৈধ অবরোধ ভাঙতে সফল হয়নি।

মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, সব যাত্রী নিরাপদ ও সুস্থ আছেন এবং তাদের ইসরায়েলে এনে ইউরোপে পাঠানো হবে। একটি সম্ভাব্য যান্ত্রিক সমস্যাযুক্ত জাহাজ গাজার কাছাকাছি সমুদ্রে অবস্থান করছে। সেটি যদি অবরোধ ভাঙার চেষ্টা করে, তবে তা প্রতিরোধ করা হবে।

এর আগে আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ফ্লোটিলা ট্র্যাকার ৪৪টি নৌযানের প্রায় সবকটিকে ‘নিশ্চিত বাধাপ্রাপ্ত’ বা ‘সম্ভাব্য বাধাপ্রাপ্ত’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তখনও সামারটাইম-জং, শিরিন, মাইকেনো ও ম্যারিনেট নামের কয়েকটি জাহাজ চলাচল করছে বলে ধারণা করা হচ্ছিল। এর মধ্যে দুটি ছিল আইনজীবীদের বহনকারী আইনি সহায়তাকারী নৌকা।

তবে ইসরায়েলি বিবৃতির পর ট্র্যাকারটি বন্ধ হয়ে যায়। বিকেল সাড়ে ৫টার পর তাদের ওয়েবসাইটে কোনো জাহাজের তথ্য পাওয়া যায়নি, শুধু মানচিত্র প্রদর্শিত হচ্ছিল।

ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানায়, আটক গাজা কর্মীরা নিরাপদে আশোদ বন্দরে পৌঁছেছেন এবং তাদের ইউরোপে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। নৌবাহিনীর কমান্ডোরা সমুদ্রে তাদের আটক করার সময় কোনো সমস্যা হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *