
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, এয়ার টিকিটের দাম সাধারণত চাহিদা এবং সময়ের ওপর নির্ভর করে। তবে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী টিকিট সংকট সৃষ্টি করে অতিরিক্ত মূল্য আদায় করছিলেন। এ ধরনের প্রতারণা রোধ এবং অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির নিয়ন্ত্রণে সরকার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
আজ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ে উপদেষ্টা বলেন, টিকিট বিক্রির সময় বিক্রয়মূল্য স্পষ্টভাবে উল্লেখ এবং লাইসেন্সধারী এজেন্সির মাধ্যমেই টিকিট ক্রয় নিশ্চিত করতে হবে। তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের সংবেদনশীল ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানান।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি উল্লেখ করেন, ফ্লাইট এক্সপার্ট নামক প্রতিষ্ঠানের প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড প্রকাশের পর তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব নাসরীন জাহান জানান, টিকিটের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির রোধে স্বল্পমেয়াদি তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা, আইন-নিয়ম সংশোধন, মনিটরিং এবং সুশাসন নিশ্চিত করার জন্য সামগ্রিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই এর ইতিবাচক প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে।
ব্রিফিংয়ে চারটি মূল পদক্ষেপের কথা জানানো হয়:
- টাস্কফোর্স গঠন।
- লাইসেন্সবিহীন এজেন্সির বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ।
- নন-রিফান্ডেবল টিকিটের ট্যাক্স ফেরত প্রদান।
- আইন ও বিধিমালা সংশোধন এবং ট্রাভেল এজেন্সি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (OTAMS) তৈরি।
এ পদক্ষেপগুলি এয়ার টিকিটের মূল্য স্বাভাবিক রাখা এবং যাত্রীদের প্রতারণা থেকে সুরক্ষিত রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।