
রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে মোহাম্মদ সোহাগ নামে এক ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্য দিবালোকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)। তারা এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে খুনিদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।
এক যৌথ বিবৃতিতে এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু ও সাধারণ সম্পাদক (নির্বাচিত) ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, “হাজারো শহীদের রক্তের বিনিময়ে দেশ একটি নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করলেও কিছু দুর্বৃত্ত রাজনৈতিক পরিচয়ের অপব্যবহার করে দেশে আবারও চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও সন্ত্রাস চালিয়ে গণঅভ্যুত্থান-পূর্ববর্তী অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে চাচ্ছে।”
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, “মিডিয়ায় আমরা দেখেছি, চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে সোহাগ নামের এক ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্য দিবালোকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। সেখানে স্থানীয় যুবদল নেতাদের সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠেছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক ও নিন্দনীয়।”
তারা অভিযোগ করেন, দেশের বড় রাজনৈতিক দলগুলোর একটি অংশ এখনও ফ্যাসিবাদী শক্তির পতনের পরও কোনো শিক্ষা গ্রহণ করেনি। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়া সরকারের প্রধান দায়িত্ব হলেও প্রশাসন কোথাও অপরাধ দমন করতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে না বলেও দাবি করেন তারা।
নেতারা বলেন, “রাজধানীসহ দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে যেই অপরাধ করুক, রাজনৈতিক বিবেচনার ঊর্ধ্বে উঠে তাদের গ্রেপ্তার করতে হবে। তা না হলে সরকারকে আবারও নতুন করে জনরোষের মুখে পড়তে হবে।”
এবি পার্টি অবিলম্বে সারাদেশে কম্বাইন্ড অভিযান চালিয়ে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও টেন্ডারবাজদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে। তারা নিহত সোহাগের রুহের মাগফিরাত কামনা করে তার পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
তারা সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “অবিলম্বে সোহাগ হত্যার প্রকৃত আসামিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।”