
“সবাই মিলে গড়বো দেশ, দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে সিরাজগঞ্জে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ১৮১তম গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, পাবনা, এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। স্থানীয় জেলা শিল্প কলা একাডেমি মিলনায়তনে আজকের গণশুনানিতে প্রধান অতিথি ছিলেন দুদকের কমিশনার (তদন্ত) মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী।
প্রধান অতিথি তার বক্তৃতায় বলেন, সমাজে অসংগতি, অনিয়ম ও দুর্নীতি লক্ষ্য করলে তা প্রতিরোধে সক্রিয় হওয়া প্রয়োজন। তিনি উল্লেখ করেন, সমাজের সর্বস্তরে ছড়িয়ে থাকা দুর্নীতি সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করা কঠিন, তবে সেবা গ্রহীতাদের সচেতনতা এবং সেবাদাতাদের আন্তরিকতা দুর্নীতির মাত্রা কমাতে সহায়ক। তিনি আরও বলেন, সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত সকল দপ্তরের কর্মচারীদের নিজের এবং দেশের কল্যাণে সেবাদানে আরও যত্নশীল হতে হবে।
কমিশনার উল্লেখ করেন, দুদক সরকারি দপ্তরগুলোর সেবার মান উন্নয়নের পাশাপাশি জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য গণশুনানির আয়োজন করে। সমাজে দুর্নীতি বিরোধী সংস্কৃতি গড়তে মাঠ পর্যায়ে সরকারি কর্মচারীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। অন্যায় করলে কেউ ছাড় পাবে না, এবং আজকের গণশুনানি তার একটি প্রমাণ।
জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আকতার হোসেন, মহাপরিচালক (তদন্ত-১) মো. রেজাউল কবির, সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. ফারুক হোসেন এবং রাজশাহী বিভাগীয় পরিচালক মো. ফজলুল হক।
গণশুনানিতে মোট ৩৬টি সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি দপ্তরের বিরুদ্ধে ১৪০টি অভিযোগ গৃহীত হয়। এর মধ্যে ১০৫টি অভিযোগ দুদকের তফসিলভুক্ত হওয়ায় শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। ৩২টি অভিযোগে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ২৬টি অভিযোগে বিভাগীয়ভাবে নিষ্পত্তির ব্যবস্থা নেওয়া হয় এবং ৩৪টি অভিযোগের তাৎক্ষণিক সমাধান দেওয়া হয়। আদালতে মামলা থাকা কারণে ৩টি অভিযোগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ সম্ভব হয়নি।