
দেশের অর্থনীতিকে সবার জন্য উন্মুক্ত ও গণতান্ত্রিক করার ওপর জোর দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, শুধু রাজনীতি গণতান্ত্রিক হলেই চলবে না, অর্থনীতিকেও গণতান্ত্রিক করতে হবে। প্রতিটি নাগরিককে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশীদার করতে হবে, যাতে কোনো একক গোষ্ঠী সুবিধা না পায়।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান ১ম বর্ষ যুগপৎ আন্দোলন শরিক দল’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আমীর খসরু বলেন, জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের কৃতিত্ব কোনো নির্দিষ্ট দলের নয়, বরং এটি বাংলাদেশের সমস্ত মানুষের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার ফল। তিনি রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের সংস্কৃতি বদলানোর এবং সহনশীল হওয়ার আহ্বান জানান। তার মতে, অপরের ভিন্ন মতের প্রতি সম্মান জানানো রাজনৈতিক দলের জন্য জরুরি।
তিনি আরও বলেন, জনগণের সমর্থন নিয়ে সংসদে আইন পাস করাই হচ্ছে গণতন্ত্র। তিনি কিছু ‘ক্ষুদে স্বৈরাচার’ থাকার কথা উল্লেখ করে বলেন, “যদি কেউ বলে আমাদের দাবি না মানলে নির্বাচন করবো না, অথবা আমরা আন্দোলন করবো, এটা অগণতান্ত্রিক।”
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরে আমীর খসরু বলেন, যেসব দেশে বিপ্লবের পর দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে, সেসব দেশ ভালো করেছে। কিন্তু যেসব দেশ এই ধরনের পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে, সেখানে গৃহযুদ্ধ, সামাজিক বিভাজন এবং অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, “আমাদের এক বছর অতিরিক্ত হয়ে গেছে। যত তাড়াতাড়ি জনগণের ভোটের মাধ্যমে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত না হবে, ততক্ষণ জনগণের অধিকার, স্বাধীনতা, মুক্তচিন্তা কিছুই থাকবে না। দিনের শেষে দেখবেন, আমরা একে অপরের সঙ্গে যুদ্ধ করছি।”