
নাসা গ্রুপের শ্রমিকদের পাওনা বেতন পরিশোধ করা না হলে মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। আজ শ্রম মন্ত্রণালয়ে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর শ্রম পরিস্থিতি বিষয়ক এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সভায় নাসা গ্রুপের প্রতিনিধিদের আগামী ২১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রতিষ্ঠানের মালিক নজরুল ইসলাম মজুমদার-এর কাছ থেকে সম্পত্তি বিক্রির ক্ষমতা (Power of Attorney) নিয়ে শ্রমিকদের চলতি মাসের বেতন-ভাতাদি পরিশোধের পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। একই সময়ের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি চালু থাকবে নাকি বন্ধ হবে, সেই সিদ্ধান্তও জানাতে বলা হয়েছে। এই নির্দেশনা পালনে ব্যর্থ হলে মালিক এবং তার স্ত্রী, ছেলে ও মেয়ের পাসপোর্ট বাতিলসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়।
সভায় নাসা গ্রুপের মালিকপক্ষ এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা বিপুল পরিমাণ সম্পদের তালিকা প্রকাশ করা হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
- গুলশানে দুটি ১২ তলা ব্যাংক বিল্ডিং, একটি দখলকৃত বাড়ি এবং ৭১ নম্বর প্লটে এক বিঘা জমি।
- পূর্বাচলে ২০টি প্লট, একটি হাসপাতাল এবং আড়াই বিঘা জমি।
- জলসিঁড়িতে বেশ কয়েকটি প্লট, একটি কাঁচা মার্কেট এবং ১০০ কোটি টাকা মূল্যের একটি মার্কেট।
- তেজগাঁও ও মহাখালীতে নাসা গ্রুপের প্রধান কার্যালয়সহ কয়েকটি বিশাল জমি।
- দুবাইয়ে খেজুর বাগান ও রিসোর্ট।
- বিজিএমইএ-এর উত্তর পাশে দিয়াবাড়ীতে ৪০০ কোটি টাকা মূল্যের একটি বিশাল সম্পত্তি।
- এছাড়াও মেঘনা ঘাট, চাঁদপুর, ঠাকুরগাঁও, নিকেতন, হাতিরঝিল ও উত্তরাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিপুল পরিমাণ স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ রয়েছে।
সভায় অর্থ, স্বরাষ্ট্র ও বাণিজ্য উপদেষ্টাসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।