
ভারতে অবস্থান করলেও বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচার থেমে থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। তিনি জানান, তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তবে এখনো ভারত থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
সোমবার (৪ আগস্ট) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস-২০২৫’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।
তৌহিদ হোসেন বলেন, “আমরা চেয়েছি শেখ হাসিনাকে ফেরত দেওয়া হোক, যাতে তাকে বিচারের মুখোমুখি করা যায়। তবে ভারত এখনো কোনো জবাব দেয়নি। তবুও বিচার প্রক্রিয়া চলমান থাকবে, তিনি উপস্থিত থাকুক বা না থাকুক।”
আন্তর্জাতিক সহযোগিতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সরকার যদি কখনো মনে করে প্রয়োজন আছে, তখন দেখা যাবে। তবে বর্তমানে এমন কোনো প্রয়োজন দেখা যাচ্ছে না।”
ভারত থেকে অবৈধভাবে বাংলাদেশি নাগরিকদের পুশ-ইন প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, “ভারতে যদি কোনো বাংলাদেশি অবৈধভাবে থাকে, তাদের হেফাজতে নেওয়ার আগে আমাদের জানানো উচিত। আমরা যাচাই করে দেখব তারা আমাদের নাগরিক কি না। কিন্তু সরাসরি পুশ-ইন করা হচ্ছে, যা নিয়মের ব্যত্যয়।”
এ সময় তিনি জানান, এ বিষয়ে বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই ভারতের কাছে আপত্তি জানিয়েছে এবং সঠিক প্রক্রিয়ায় ফেরত আনার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
সন্ত্রাসবাদ নিয়ে মার্কিন উদ্বেগ সম্পর্কেও মন্তব্য করেন তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেন, “আমাদের অবস্থান স্পষ্ট—আমরা সন্ত্রাসবাদকে প্রশ্রয় দিই না। যদি নির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ থাকে, সেটি আমরা গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করব ও প্রয়োজনে সহযোগিতা করব।”
হুমকির বিষয়ে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, “এ মুহূর্তে কোনো হুমকি আছে কি না, তা আমি বলতে পারছি না।”