
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গুম সংক্রান্ত বিষয়ে Facebook-এ একটি পোস্ট প্রকাশ করেছেন । যেখানে তারেক রহমান জোরপূর্বক গুমকে বৈশ্বিক সমস্যা এবং মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
তিনি বলেন, বিশেষ করে স্বৈরতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা এবং রাজনৈতিক সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বাহিনী বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা অনেক সময় সরকারবিরোধী আন্দোলন বা ভিন্ন মতের রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের কৌশল ব্যবহার করে।
তারেক রহমান বলেন, “শেখ হাসিনার আমলে বাংলাদেশে নজীরবিহীন গুমের ঘটনায় দেশবাসীর মতো আমিও গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।” নির্ভরযোগ্য মানবাধিকার সংস্থাগুলো প্রকাশ করেছে, ২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সাত শতাধিক মানুষকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা গুম করেছে। আজ পর্যন্ত কোনো ঘটনার ন্যায়বিচার পাওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, তবে আশার কথা যে, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ‘গুম প্রতিরোধ, প্রতিকার ও সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫’-এর খসড়া নীতিগতভাবে অনুমোদন করেছে, যা ভবিষ্যতে গুম প্রতিরোধে সহায়তা করবে।
তারেক রহমান আরও বলেন, “গুমের শিকারদের পরিবার তাদের অবস্থান সম্পর্কে কোনো তথ্য পায় না এবং ন্যায়বিচারের অধিকার থেকেও বঞ্চিত থাকে। রাষ্ট্র কর্তৃক অদৃশ্য হয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের স্মরণে আন্তর্জাতিক দিবস পালন করা হয়। আমি এই মনুষ্যত্বহীন অপরাধে জড়িত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোর বিচার ও জবাবদিহিতার জন্য বিশ্বব্যাপী ঐক্য ও সংহতির আহ্বান জানাই।”
তিনি আশ্বাস দেন, “বিএনপি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করলে, বাংলাদেশে আর কোনো ব্যক্তি যেন গুম না হয়, তা নিশ্চিত করতে আমরা জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত গুম প্রতিরোধ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক কনভেনশন (আইসিপিপিইডি) অনুসারে যথাযথ আইন প্রণয়ন করব ইনশাল্লাহ। মানবতার বিরুদ্ধে এই গুরুতর অপরাধের ন্যায়বিচার হতেই হবে।”