সাকিব আল হাসান পরিকল্পনা করে নয়, বরং বাধ্য হয়েই গিয়েছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের আজমানে অনুশীলনের জন্য। যুক্তরাষ্ট্রে থাকা অবস্থায় অনুশীলনের পর্যাপ্ত সুবিধা না থাকায় এবং ভালো প্রতিপক্ষের অভাবে তাঁর বোলিং ও ব্যাটিং কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছিল।
এমন এক জায়গা দরকার ছিল যেখানে পিচে অনুশীলনের সুযোগ থাকবে এবং পরিবেশটাও খেলার উপযোগী হবে। সেই চিন্তা থেকেই এ বছরের শুরুতে আজমানে যান সাকিব। সেখানে ৮–১০ দিন অনুশীলনের সুযোগ পান, এমনকি সেন্টার উইকেটে ব্যাট করতেও পারেন।
তবে সাকিব নিজেও তখন জানতেন না, এই অনুশীলনই তাকে ছয় মাস পর প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফেরার জন্য প্রস্তুত করবে। হঠাৎ করেই সুযোগ এসে যায় পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) লাহোর কালান্দার্স দলের হয়ে খেলার। কারণ, বিভিন্ন বিদেশি খেলোয়াড় পিএসএল থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেওয়ায় সাকিবের জন্য দরজা খুলে যায়।
গতকাল সাকিব যুক্তরাষ্ট্র থেকে পাকিস্তানের উদ্দেশে রওনা দেন। আগামীকাল ইসলামাবাদ পৌঁছে বিকেলে অনুশীলনে অংশ নেবেন। পরশু রাওয়ালপিন্ডিতে লাহোর কালান্দার্সের হয়ে মাঠে নামবেন পেশোয়ার জালমির বিপক্ষে।
সাকিবের এজেন্ট প্রতিষ্ঠান সেকেন্ড ইনিংস স্পোর্টস অ্যান্ড এন্টারটেইনমেন্ট (SISE)-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা রুদ্রদীপ ব্যানার্জী জানান, আজমানে অনুশীলনের পেছনে কোনো নির্দিষ্ট লক্ষ্য ছিল না। বরং বোলিং অ্যাকশন সংশোধনের পর নিজেকে প্রস্তুত রাখার একটি প্রয়াস ছিল।
রুদ্রদীপ বলেন, “বোলিং অ্যাকশনের কারণে সাকিব এত দিন খেলতে পারেননি। অ্যাকশন ঠিকঠাক না থাকায় আইপিএলে কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি তাকে নেয়নি। তবে পিএসএলে সুযোগ পাওয়া আমাদের জন্য বড় স্বস্তি।”
লাহোর কালান্দার্স টিম ডিরেক্টর সামিন রানাও সাকিবকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, “তাঁর অভিজ্ঞতা ও অলরাউন্ড সক্ষমতা আমাদের দলের জন্য দারুণ সংযোজন হবে।”
সাকিব নিজেও ফিরতে পেরে রোমাঞ্চিত। তিনি বলেন, “অনেক দিন পর বড় কোনো টুর্নামেন্টে খেলতে যাচ্ছি। ইনশা আল্লাহ ভালো খেলব।”
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) থেকে সাকিব পিএসএলে খেলার জন্য অনাপত্তিপত্রও পেয়ে গেছেন। দেশের হয়ে না হলেও বিদেশি লিগে খেলেই সাকিব হয়তো আবারও তার পুরোনো জ্বলে ওঠা শুরু করবেন।