
পাবনা জেলার আতাইকুলা থানার কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী শাহীন আলমের প্রায় ৭ কোটি টাকার সম্পদ ক্রোকের আদেশ দিয়েছে আদালত। অর্থপাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট, সিআইডির তৎপরতায় এই আদেশ দেওয়া হয়।
সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, মাদক ব্যবসার মাধ্যমে বিপুল অর্থ উপার্জনের অভিযোগে শাহীন আলমের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের ১৪ মার্চ আতাইকুলা থানায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ (সংশোধনী-২০১৫)-এর ৪(২) ধারায় মামলা রুজু করা হয়।
প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি অপরাধলব্ধ অর্থে ১৯২.৬৭ শতাংশ জমিসহ বিভিন্ন স্থাবর সম্পদ অর্জন করেন, যার বাজারমূল্য প্রায় ৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা। সিআইডির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এসব সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেন।
এছাড়া তদন্তে শাহীন আলমের নামে থাকা ১০টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ৬ কোটি ৬২ লাখ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। বর্তমানে এসব হিসাবে থাকা ৪২ লাখ ৪৩ হাজার ৩৮৭ টাকা আদালতের নির্দেশে ইতোমধ্যে ফ্রিজ করা হয়েছে।
শাহীন আলম নিজেকে দুগ্ধ ব্যবসায়ী দাবি করলেও তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে যে তিনি আতাইকুলা উপজেলায় একটি সংঘবদ্ধ মাদক চক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এই চক্রের মাধ্যমে তিনি দীর্ঘদিন ধরে মাদক পাচার করে বিপুল অবৈধ সম্পদ গড়ে তুলেছেন।
অভিযুক্ত ব্যক্তির নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে আরও স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের খোঁজ চলছে। মামলার তদন্ত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।