স্কুলছাত্রীকে অপহরণ ও জোরপূর্বক বিয়ে, সালিশে মারধরে পিতার মৃত্যু

স্কুলছাত্রীকে অপহরণ ও জোরপূর্বক বিয়ে, সালিশে মারধরে পিতার মৃত্যু

চট্টগ্রামের হাটহাজারীর সন্দ্বীপ কলোনিতে এক অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে জোরপূর্বক বিয়ের ঘটনায় সালিশ বৈঠকে মেয়ের বাবাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহত ব্যক্তি ফখরুল ইসলাম (৫৮), যিনি ওই এলাকার বাসিন্দা ছিলেন।

জানা যায়, ১৪ বছর বয়সী মেয়েটি ২৭ জুলাই স্কুল থেকে ফেরার পথে সুবর্ণচর উপজেলার এক যুবক রিফাত (২২) ও তার সহযোগীদের দ্বারা জোরপূর্বক অপহৃত হয়। অভিযুক্ত রিফাত পেশায় নির্মাণ শ্রমিক এবং তার খালার বাড়ি সন্দ্বীপ কলোনিতে। অপহরণের পর মেয়েটিকে জোর করে বিয়ের রেজিস্টারে স্বাক্ষর করানো হয়। পরিবারের সদস্যরা মেয়েটিকে খুঁজে না পেয়ে হাটহাজারী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে পুলিশ সুবর্ণচর থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে।

ঘটনার পর ২ আগস্ট রাতে সালিশ বৈঠক বসে আমতলী এলাকার সন্দ্বীপ কলোনিতে। সেখানে ছেলে ও মেয়েপক্ষের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়, যা একপর্যায়ে মারামারিতে রূপ নেয়। অভিযোগ রয়েছে, এ সময় ছেলেপক্ষের লোকজন ফখরুল ইসলামকে ইট ও লোহার পাইপ দিয়ে বুকে ও মাথায় আঘাত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনার পর পুলিশ নুর আলম (৪২) ও মো. মুসলিম (৪৫) নামে দুই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। হাটহাজারী মডেল থানার পুলিশ জানায়, তদন্ত চলছে এবং মামলা প্রক্রিয়াধীন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *