
বিএনপির সাবেক নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে ‘জুডিশিয়াল কিলিং’ করা হয়েছে বলে দাবি করে তার পরিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তথ্য সংগ্রহের জন্য লিগ্যাল নোটিশ পাঠাতে যাচ্ছে। পরিবার জানিয়েছে, আগামী রোববার তারা এই নোটিশ পাঠাবেন।
২০১৫ সালের ২১ নভেম্বর রাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে চট্টগ্রাম অঞ্চলে সাংবাদিক, শিক্ষক ও বুদ্ধিজীবী হত্যাসহ সাম্প্রদায়িক হত্যার দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। সেই রায় সর্বোচ্চ আদালতে বহাল থাকে। একই সময়ে জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদেরও মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে হুম্মাম কাদের চৌধুরী জানিয়েছেন, তার বাবার পক্ষে সাক্ষ্য দিতে চার বিদেশি নাগরিক আগ্রহী ছিলেন, কিন্তু ট্রাইব্যুনাল তাদের অংশগ্রহণ অনুমোদন দেয়নি। পরে ইউটিউবে প্রমাণ প্রকাশ করা হয়। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে তার বাবা পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিলেন, কিন্তু বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিদেশি দূতাবাসে সাইফার মেসেজের মাধ্যমে তাদের ভিসা দিতে অস্বীকার করেছিল। এ বার্তা প্রমাণ করে যে তার বাবার সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছিল।
হুম্মাম কাদের আরও বলেন, সরকার সহযোগিতা করলে তারা রিটের মাধ্যমে আদালতে যেতে পারবেন। এছাড়া তার মা ফরহাত কাদের চৌধুরী জানিয়েছে, গ্রেপ্তারের পর সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে রাতভর নির্যাতন করা হয়েছিল এবং হাসপাতালের ভিডিওতে মারধরের চিহ্ন দেখা যায়।
সংবাদ সম্মেলনে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন, তাদের মধ্যে ছিলেন বড় ছেলে ফাইয়াজ কাদের চৌধুরী, স্ত্রী ব্যারিস্টার ডানিয়া খন্দকার এবং মাহবুবুল আহসান।