নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি
মোঃ জামিয়ার রহমান।

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)-এর ডালিয়া ডিভিশনের আওতায় এস২ সেচ প্রকল্পের কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও নিম্নমানের কাজের অভিযোগ উঠেছে। কাজের নির্ধারিত সময় পার হওয়ার পরও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এখনো একই নিয়মে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
এই প্রকল্পের কাজের নির্ধারিত সময় ইতোমধ্যে অতিক্রম করেছে। এরপরও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি আবারো সময় বাড়িয়ে নিয়ে কাজ করছে। অভিযোগ রয়েছে, এই কাজে জড়িত রয়েছে অনেক আওয়ামী লীগের ইন্টারন্যাশনাল নেতাকর্মীরা।
এদিকে, কাজের শেষ হতে না হতেই সেচ খালটিতে একদিকে ফাটল ধরেছে, অন্যদিকে সেটি ময়লা আবর্জনায় ভরে আছে। খালটির পাড় মাটি দিয়ে শক্ত করার কথা থাকলেও সেই জায়গায় বালু এবং বিভিন্ন ধরনের আলগা মাটি (ধসা মাটি) ব্যবহার করা হচ্ছে। সচেতন মহল আশঙ্কা করছে, এই নিম্নমানের কাজের ফলে বৃষ্টি হলে পাড় ফেটে ধ্বসে যেতে পারে।
এই কাজের গত সময়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী নজরদারি করে গেছেন। তাঁর পরে হাশেম আলী যোগদান করেছেন। তিনিও তাঁর পক্ষ থেকে কাজটি সুন্দরভাবে সম্পন্ন করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন, কিন্তু সফল হতে পারছেন না। অভিযোগ উঠেছে, যখনই তিনি ফোন দেন না বা খবর রাখেন না, ঠিক তখনই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি অনিয়ম করে। বিশ্বাস নামে এক উপ-ঠিকাদার (সাব-ঠিকাদার) বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নেতাদের নাম ভাঙিয়ে কাজ করে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ।
তাই সচেতন নাগরিক ও এলাকাবাসীরা দাবি করছেন, “আমরা পুনরায় এই সেচ খালটির সংস্কারসহ অন্যান্য কাজ ভালোভাবে চাই। সরকার আমাদের জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করে উন্নয়নের কাজে, কিন্তু এই কাজগুলো কেন এমন হবে, যা শুধু অনিয়মে ভরা?”
এলাকার সাধারণ বাসিন্দা গফুর আলী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “এভাবে আর কত দিন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান টাকাগুলো লুটে নিয়ে যাবে? গতবারও ব্যাপক অনিয়মের মধ্যে কাজগুলো করেছে, ঠিক আবারো শুরু করেছে। এই দেখেন আপনারা Samsung-এর বস্তা দিবে বালু এগারোটা সিমেন্ট এক বস্তা। কিন্তু সেখানেও তারা ১৩ টুকরি বালু, এক বস্তা সিমেন্ট ব্যবহার করছে, যা তাদের কাজের নিয়ম। তাহলে আপনারা বলেন আমাদের সাধারণ মানুষকে বোকা দেখেই এই কাজগুলো করে যাচ্ছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি।”