
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার সমর্থকদের হামলার প্রতিবাদে বিজয়নগরে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সমর্থকরা। সোমবার (২৫ আগস্ট) দুপুর ১২টায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের চান্দুরা এলাকার ডাকবাংলো মোড়ে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
আশাপ্রায় আধাঘণ্টা সড়ক অবরোধে মহাসড়কের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং উভয়পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি শেষ হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, নির্বাচন কমিশনের শুনানিকালে এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) মো. আতাউল্লাহ ও তার সহযোগীদের ওপর রুমিন ফারহানার সমর্থকেরা হামলা চালায়। তারা রুমিন ফারহানাকে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
বিক্ষোভে বক্তব্য দেন এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মো. আতাউল্লাহ, বিজয়নগর উপজেলা প্রধান সমন্বয়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ আমিনুল হক চৌধুরী, উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সদস্য রাষ্টু সরকার, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা মিজানুর রহমান এবং এনসিপির নারী নেতা জয়ন্তী বিশ্বাস।
আতাউল্লাহ অভিযোগ করে বলেন, “রুমিন ফারহানা ও তার সমর্থকরা গণতন্ত্রের নামে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করেছেন। তারা নির্বাচন কমিশনের শুনানিকেও রণক্ষেত্রে পরিণত করেছে। আমি জানি জুলাইযোদ্ধারা কখনো ম্যানেজ হয়নি, কিন্তু তারা রাতের অন্ধকারে তিনটি ইউনিয়ন নিজের আসনে যুক্ত করার চেষ্টা করছে।”
তিনি আরও বলেন, “সংরক্ষিত নারী আসনে ভোটের মাধ্যমে এমপি হয়েছেন রুমিন ফারহানা। তখন তিনি সরকারের সুবিধা ভোগ করেছেন। এখন বিজয়নগরের চান্দুরা, বুধন্তী ও হরষপুর ইউনিয়ন নিয়ে মিথ্যাচার করছেন। এটি বিজয়নগরবাসী মেনে নেবে না।”
বিক্ষোভকারীরা জানান, আগামী তিনদিনের মধ্যে রুমিন ফারহানাকে গ্রেপ্তার না করলে আরও কঠোর কর্মসূচি নেওয়া হবে।