
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বাংলাদেশে আগমনের আট বছর পূর্ণ হওয়ার পর পশ্চিমা বিশ্বের ১১টি দেশ বাংলাদেশকে সমর্থন জ্ঞাপন করেছে। তারা জানিয়েছে, রোহিঙ্গা সংকটের জটিল পরিস্থিতি বিবেচনা করে মিয়ানমারের অবস্থা এবং বাংলাদেশে চলমান মানবিক চ্যালেঞ্জের প্রতি নজর রাখবে।
এই দেশগুলো আগামী মাসে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া উচ্চপর্যায়ের সম্মেলনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে কাজ করবে। সোমবার ঢাকায় ফ্রান্স দূতাবাস যৌথ বিবৃতির মাধ্যমে এই প্রতিশ্রুতি প্রকাশ করে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আট বছর পার হওয়ার পর আমরা মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর সেই কর্মকাণ্ড স্মরণ করছি, যার কারণে বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা বাস্তুচ্যুত হয়েছে। বর্তমানে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অবস্থান করছে এবং নতুন arrivals এখনও আসছে।”
১১ দেশ রোহিঙ্গাদের ধৈর্য ও সহনশীলতাকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেছেন, তারা কঠিন বাস্তুচ্যুতি ও নিরাপত্তাহীনতা সত্ত্বেও দৃঢ়তা দেখাচ্ছেন। এছাড়াও তারা বাংলাদেশের জনগণ এবং সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে, যারা আশ্রয় ও মানবিক সহায়তা দিয়ে চলেছেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “রোহিঙ্গারা স্বেচ্ছায় ও নিরাপদে তাদের মূল দেশে ফিরে যেতে চাই। তবে বর্তমানে মিয়ানমারে এমন পরিস্থিতি নেই, যা তাদের স্থায়ী ও সম্মানের সঙ্গে প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে পারে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই জন্য শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল মিয়ানমার প্রতিষ্ঠার ওপর জোর দিচ্ছে।”
সোমবারের যৌথ বিবৃতিতে দেশগুলো বলেছে, তারা রোহিঙ্গাদের জন্য আত্মনির্ভরশীলতা বৃদ্ধির মাধ্যমে স্থায়ী সমাধান তৈরিতে এবং স্থানীয় বাংলাদেশি জনগোষ্ঠীকে সহায়তা প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এছাড়াও রোহিঙ্গাদের অংশগ্রহণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রতিনিধি নিশ্চিত করার মাধ্যমে নিরাপদ ও সম্মানজনক জীবনযাপন নিশ্চিত করার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।