রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার চারা বটতলা গ্রামে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যক্তিগত বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত আটজন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নাওদাড়া দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
জানা গেছে, রবিবার সকালে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র রিজভী আলী নবম শ্রেণির শ্রেণিকক্ষের পাশে ধূমপান করছিল। বিষয়টি দেখে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী দুর্জয় ইসলামসহ কয়েকজন তাকে সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে রিজভী তার বন্ধু ইমন আলীসহ কয়েকজনকে নিয়ে দুর্জয়কে ডেকে এনে মারধর করে। গুরুতর আহত দুর্জয়কে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
ঘটনার জেরে সোমবার রাতে শ্রীখণ্ডী গ্রাম থেকে লোকজন চারা বটতলা গ্রামে গিয়ে রিজভী ও ইমনের বাড়িতে হামলা চালায়। এতে ইমনের চাচা মিঠু আলীর বাড়ি ভাঙচুর হয়। মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে দুই গ্রামের আটজন গুরুতর আহত হন, যাদের মধ্যে দুর্জয়ের বাবা সওদাগর আলীর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওয়াজ নবী বলেন, “পরিস্থিতি শান্ত না হওয়া পর্যন্ত স্কুল তিন দিনের জন্য বন্ধ থাকবে। দুই পক্ষের অভিভাবকদের আলোচনায় বসে সমাধানে পৌঁছানোর চেষ্টা চলছে।”
চারঘাট মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, “ঘটনার পরপরই পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আইনগত পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।”
এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয়রা শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।