
মানবাধিকার সংস্থা অধিকার শুক্রবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্মরণে আয়োজিত এক সভায় ১০টি সুপারিশ উপস্থাপন করেছে। সংস্থার সিনিয়র রিসার্চার তাকসিম তাহমিনা সভায় এসব সুপারিশ তুলে ধরেন।
সুপারিশগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলো হলো:
- সব গুমের ঘটনার জন্য স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্ত নিশ্চিত করা।
- নিখোঁজ ব্যক্তিদের খোঁজে জাতীয় কৌশল এবং নীতিমালা প্রণয়ন।
- ফিরে আসা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যেসব মিথ্যা মামলা করা হয়েছে, তা প্রত্যাহার করা।
- Certificate of Absence প্রদান ও ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা।
- সাক্ষী ও ভুক্তভোগীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আইন প্রণয়ন।
- সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০৯ বাতিল বা সংশোধন করা।
- র্যাবের বিলুপ্তি।
- গুমের প্রমাণ ধ্বংসকারীদের বিচারাধীন আনা।
- দ্রুত এবং ন্যায্য বিচার প্রক্রিয়া চালু করা।
- ICPPED বাস্তবায়ন ও ফরেনসিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।
অধিকার দাবী করে, পূর্ববর্তী সরকার কর্তৃত্ববাদী শাসন কায়েম করার জন্য গুমকে রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে। বিরোধী রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সরকারের সমালোচকরা গোপন বন্দিশালায় আটক হয়ে নির্যাতন ও বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছেন।
২০২৫ সালের জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর গুম তদন্ত কমিশনে ব্যাপক অভিযোগ জমা পড়ে। কমিশনের প্রতিবেদনে দেখা যায়, ‘তিন স্তরের পিরামিড’ ব্যবস্থা অনুসরণ করে গুম বাস্তবায়ন করা হতো, যার শীর্ষে ছিলেন তখনকার প্রধানমন্ত্রী, প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তারা।
বর্তমানে নতুন কোনো গুমের ঘটনা ঘটছে না, তবে বিচার প্রক্রিয়া ধীরগতিতে চলছে। সংস্থা সতর্ক করে বলেছে, যদি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত না হয়, তাহলে ভবিষ্যতে গুম পুনরায় ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।