
বাংলাদেশের বর্তমান সংবিধানকে ‘ইংরেজদের চাপিয়ে দেওয়া শাসনতন্ত্র’ আখ্যা দিয়ে কবি ও রাজনৈতিক ভাষ্যকার ফরহাদ মজহার বলেছেন, শুধু নির্বাচন নয়—প্রথমে রাষ্ট্রের কাঠামো পুনর্গঠন জরুরি। পরে সেই কাঠামোর ভিত্তিতেই নির্বাচন হতে পারে। দেশ পরিচালনার জন্য এখন নতুন একটি ‘গঠনতন্ত্র’ প্রণয়ন প্রয়োজন।
শনিবার কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলা অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। “জুলাই গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতি” শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে উলিপুর জ্ঞানতরু সাহিত্য ও সংস্কৃতি পরিষদ।
ফরহাদ মজহার বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ হওয়া মানুষগুলোই প্রকৃত নায়ক। তারা আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করেছেন। আমরা এমন রাষ্ট্র চাই যেখানে জনগণের দৈনন্দিন সমস্যার সমাধান হবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, সরকার বিদেশি ঋণ এনে প্রকল্পের নামে ভাগাভাগি করে খায়, আর সেই ঋণ শোধের দায়ভার পরে জনগণের ওপর।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আপসহীন সংগ্রাম ছাড়া এ গণঅভ্যুত্থান সম্ভব হতো না। তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছিল। একইভাবে তারেক রহমানকে গ্রেনেড হামলার মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা হয়েছিল, যদিও পরবর্তীতে আদালত তাকে খালাস দিয়েছেন।
ফরহাদ মজহার দাবি করেন, জামায়াতে ইসলামীকে বেআইনিভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। শেখ হাসিনার মতো স্বৈরশাসক যেন আর ক্ষমতায় আসতে না পারে, সেজন্য রাজনৈতিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তিনি বলেন, রাজনীতিবিদদের কাছে নতি স্বীকার করে ড. মুহাম্মদ ইউনূস নির্বাচনের সময়সীমা দিয়েছেন। তবে সেনাবাহিনীর সমর্থন ছাড়া এ সরকার টেকসই হবে না।
সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি সাখাওয়াত হোসাইন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মেসার উদ্দিন আহম্মেদ। বক্তব্য রাখেন স্থানীয় বণিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইকবাল হোসেন চাঁদ, সাংবাদিক শাহরিন আরাফাত, আসলাম উদ্দিন আহম্মেদ, প্রভাষক মিজানুর রহমান, জুলাইযোদ্ধা আবদুল্লাহ আল নাহিনসহ অন্যরা।