
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো পালিত হলো আন্তর্জাতিক বজ্রপাত নিরাপত্তা দিবস ২০২৫। রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের মূল স্লোগান ছিল:
“শুনলে বজ্রধ্বনি, ঘরে যাই তখনই”।
এই আয়োজনে ছিল বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে পরিচালিত সুফল-II প্রকল্প, যার নেতৃত্বে আছে কেয়ার বাংলাদেশ। অংশীদার হিসেবে যুক্ত রয়েছে কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড এবং আঞ্চলিক দুর্যোগ সহযোগী সংস্থা রাইমস।
অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বজ্রপাত প্রতিরোধ ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সচেতনতামূলক তথ্যপত্রও উদ্বোধন করেন।
রাইমসের কান্ট্রি প্রোগ্রাম লিড মোঃ রায়হানুল হক খান প্রস্তাব দেন, দিবসটি যেন সরকারি উদ্যোগে প্রতিবছর পালন করা হয়। তিনি বলেন, বজ্রপাতজনিত প্রাণহানি কমাতে পূর্বাভাস ও সচেতনতা—দুটিই গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপপরিচালক এস এম কামরুল হাসান জানান, রাইমসের কারিগরি সহায়তায় চালু হওয়া বজ্রপাত পূর্বাভাস ব্যবস্থা এখন ওয়েবসাইট, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ও প্রি-রেকর্ডেড অডিও বার্তার মাধ্যমে জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
পরে আয়োজিত প্যানেল আলোচনায়, আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মোঃ মোমেনুল ইসলাম বলেন, স্বল্পমেয়াদী পূর্বাভাস ব্যবস্থাকে টেকসই করতে সরকারের দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রয়োজন।
রাইমসের আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ খান মো. গোলাম রাব্বানী বজ্রপাতের বৈজ্ঞানিক দিক ও জনসচেতনতা বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন। অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে প্রশ্নোত্তর পর্বে ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বজ্রপাতসংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন শিক্ষার্থী ও অতিথিদের।