
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করিম বলেছেন, যারা অনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতি (পিআর সিস্টেম) বুঝতে অক্ষম, তাদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণের কোনো নৈতিক ভিত্তি নেই। এই পদ্ধতি বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ৯১টি দেশে কার্যকর রয়েছে এবং এটি সঠিকভাবে প্রয়োগ করা হলে ভোটারদের প্রকৃত মতামতের প্রতিফলন ঘটে।
সোমবার (২৮ জুলাই) চুয়াডাঙ্গা শহরের টাউন ফুটবল মাঠে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা শাখার আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
চরমোনাই পীর বলেন, “অনেকেই প্রশ্ন করেন, এই পদ্ধতি খাওয়া যায় না মাথায় দেওয়া যায় না – এটা নিয়ে কথা বলার মানেই হলো তারা বিষয়টি বুঝেও না বোঝার ভান করছেন। মূলত অনুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতি চালু হলে দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে সম্পদ গড়ে তোলার সুযোগ কমে যাবে, এজন্যই একশ্রেণির রাজনীতিকরা এর বিরোধিতা করে।”
তিনি আরও বলেন, “বর্তমান সংবিধানকে বারবার পরিবর্তন করে দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করা হয়েছে। এখন সময় এসেছে এমন একটি পদ্ধতির দিকে যাওয়ার, যেখানে জনগণের প্রত্যেকটি ভোট মূল্য পাবে। পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের মাধ্যমে আর কোনো দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে স্বেচ্ছাচারিতার সুযোগ পাবে না।”
সমাবেশে ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, খুলনা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি মোস্তফা কামাল, চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি মোহাম্মাদ হাসানুজ্জামান সজিবসহ আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন।
সমাবেশের একপর্যায়ে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে মাওলানা জহুরুল ইসলাম এবং চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে মোহাম্মাদ হাসানুজ্জামান সজিবকে দলের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
পীর সাহেব বলেন, “দেশ ও ইসলামপ্রেমী সব নাগরিককে এক হয়ে পিআর পদ্ধতির নির্বাচন বাস্তবায়নের দাবিতে এগিয়ে আসতে হবে। অপরাধী, দুর্নীতিবাজ, জনগণের অর্থ পাচারকারীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক সংস্কার এখন সময়ের দাবি।”
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন, তাদের মধ্যে ছিলেন জেলা জামায়াতের আমির, হেফাজতে ইসলামের জেলা নেতৃবৃন্দ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক নেতাসহ আরও অনেকে।