
ইয়েমেনের গুরুত্বপূর্ণ হোদাইদা বন্দরে ইসরায়েলের ভয়াবহ বিমান হামলার জবাবে দখলদার ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, তারা ক্ষেপণাস্ত্রটি ভূপাতিত করার চেষ্টা করছে।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) হোদাইদা বন্দরে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। হামলার কয়েক ঘণ্টা আগেই হোদাইদা থেকে সরে যাওয়ার জন্য সবাইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এরপর বিমান থেকে অন্তত ১২টি ক্ষেপণাস্ত্র ও বোমা নিক্ষেপ করা হয়। হামলার পর ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, হুতি বিদ্রোহীরা বন্দরটিকে ইরানের অস্ত্র পরিবহনের কাজে ব্যবহার করে, যা পরে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হয়।
ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা এই হামলাকে দেশটির সাধারণ মানুষের দুর্দশা বাড়ানোর জন্য ইসরায়েলের ইচ্ছাকৃত হামলা বলে উল্লেখ করেছে। তারা জানিয়েছে, হোদাইদা একটি বেসামরিক বন্দর এবং ইয়েমেনের অর্থনীতির একটি বড় অংশ এর ওপর নির্ভরশীল।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ হুমকি দিয়েছেন যে, ইয়েমেনে তাদের হামলা অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, হুতিদের ওপর নৌ ও আকাশ অবরোধ অব্যাহত রাখতে এই হামলা চালানো হয়েছে এবং তারা ইসরায়েলের ওপর হামলার চেষ্টার জন্য চড়া মূল্য দেবে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে হুতিরা অসংখ্যবার ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এছাড়া, তারা লোহিত সাগরে ইসরায়েলি জাহাজ চলাচলেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। সম্প্রতি ইসরায়েলের হামলায় ইয়েমেনের বিদ্রোহী সরকারের প্রধানমন্ত্রীসহ ১২ মন্ত্রী এবং অন্তত ৩১ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছিলেন।