
পুরান ঢাকায় ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে নৃশংস হত্যার ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার রাজধানীর পল্লবীতে একই ধরনের সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ উঠেছে। চাঁদা না পেয়ে হামলা ও গুলিবর্ষণের ঘটনায় ফের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে সাধারণ ব্যবসায়ীদের মধ্যে।
গতকাল শুক্রবার (১১ জুলাই) বিকেল পাঁচটার দিকে পল্লবীর আলব্দিরটেক এলাকায় অবস্থিত এ কে বিল্ডার্স নামে একটি আবাসন নির্মাণ প্রতিষ্ঠানে একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী হামলা চালায়। প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান মো. কাইউম আলী খান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, জামিল নামের এক ব্যক্তি কয়েক সপ্তাহ আগে পাঁচ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন। টাকা না দেওয়ায় বারবার সন্ত্রাসী হামলার শিকার হচ্ছেন তারা।
প্রতিষ্ঠানটির একজন কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম এ হামলায় গুলিবিদ্ধ হন। তাঁকে দ্রুত কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ কে বিল্ডার্সের চেয়ারম্যান কাইউম আলী খানের ছেলে আমিমুল এহসান জানান, এর আগেও দুই দফায় তাদের প্রতিষ্ঠানে হামলা হয়েছে এবং সিসি ক্যামেরা ও অন্যান্য জিনিসপত্র নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। তিনি বলেন, “গতকাল ৩০-৪০ জনের একটি সন্ত্রাসী দল এসে গুলি চালিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে এবং হামলা চালায়।”
পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, “হামলার ঘটনা তদন্তাধীন। গুলিবর্ষণের বিষয়টি আমরা গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছি এবং জড়িতদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।”
এ ঘটনার একদিন আগেই পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালে চাঁদার বিরোধকে কেন্দ্র করে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে (৩৯) প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। দুটো ঘটনার ধরন ও উদ্দেশ্য একই রকম হওয়ায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এটিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছে।
উল্লেখ্য, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ চলছে।