
বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) সদ্য নিয়োগ বাতিল হওয়া প্রধান এএফএম শাহীনুল ইসলামের বিরুদ্ধে কানাডায় অর্থ পাচারের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) অনুসন্ধানে জানা যায়, তিনি একটি বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে তার মেয়ের কাছে ১ কোটি ৮০ হাজার ৯৩৫ টাকা পাচার করেছেন, যার আয়কর রিটার্ন তিনি গোপন করেছেন।
শাহীনুল ইসলামের বিরুদ্ধে অর্থপাচার, কর ফাঁকি এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের গুরুতর অভিযোগ তদন্ত করার সময় এই চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসে। আয়কর গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, তার পাঠানো বিপুল অঙ্কের টাকার একটি বড় অংশ তার আয়কর ফাইলে উল্লেখ নেই। এছাড়াও, তার ও তার স্ত্রীর নামে একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বিপুল লেনদেন এবং বিকাশ ও রকেট অ্যাকাউন্টেও অস্বাভাবিক লেনদেনের প্রমাণ মিলেছে।
অবৈধ আয় গোপন করতে তিনি তার স্ত্রীর নামে ১ হাজার ১০৫ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট কিনেছেন। ফ্ল্যাটটির দলিল মূল্য ৩১ লাখ ৩০ হাজার টাকা দেখানো হলেও, তদন্তে এর প্রকৃত মূল্য প্রায় ৭১ লাখ টাকা বা তারও বেশি বলে প্রমাণিত হয়েছে। তার স্ত্রীর টিআইএন নম্বর থাকলেও তিনি কখনো আয়কর রিটার্ন দাখিল করেননি।
গত ৯ সেপ্টেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ বিএফআইইউয়ের প্রধান হিসেবে এএফএম শাহীনুল ইসলামের নিয়োগ বাতিল করে। তার বিরুদ্ধে ওঠা ভিডিও কেলেঙ্কারি ও অবৈধ লেনদেনের অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হলে তাকে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছিল।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিনি বিতর্কিত ব্যবসায়ী খন্দকার এনায়েত উল্লাহর ফ্রিজ করা অ্যাকাউন্ট থেকে ১৯ কোটি টাকা উত্তোলনের সুযোগ করে দেন। এছাড়াও, তার নিজস্ব ও স্ত্রীর ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক নগদ জমার প্রমাণ পাওয়া গেছে। আপত্তিকর ভিডিওটির ফরেনসিক পরীক্ষায়ও এর সত্যতা নিশ্চিত হয়েছে।