
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূরের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। শুক্রবার (২৯ আগস্ট) রাতে হামলার ঘটনার পর শনিবার (৩০ আগস্ট) একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতির মাধ্যমে সরকার এই নিন্দা জানায়। বিবৃতিতে এই হামলাকে শুধুমাত্র নূরের ওপর নয়, বরং বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের চেতনার ওপরও আঘাত বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “এই ধরনের সহিংসতা শুধুমাত্র মিঃ নূরের ওপরই নয় বরং গণতান্ত্রিক আন্দোলনের চেতনার ওপরও আক্রমণ যা জাতিকে ন্যায় ও জবাবদিহিতার জন্য ঐতিহাসিক সংগ্রামে একত্রিত করেছে।”
অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশের জনগণকে আশ্বাস দিয়েছে যে এই ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ ও নিরপেক্ষ তদন্ত দ্রুত করা হবে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি, প্রভাব বা অবস্থান নির্বিশেষে, জবাবদিহিতা থেকে রেহাই পাবে না এবং দ্রুত ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হবে।
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, নূর এবং তার দলের আহত সদস্যদের চিকিৎসার তত্ত্বাবধানে একটি বিশেষ মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। সরকার তাদের সর্বোচ্চ মানের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। প্রয়োজনে তাদের রাষ্ট্রীয় খরচে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশেও পাঠানো হবে।
বিবৃতিতে নুরুল হক নূরের রাজনৈতিক জীবনের প্রশংসা করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়, শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের কোটা বিরোধী আন্দোলনে নূরের ঐতিহাসিক ভূমিকা ছিল। জুলাই বিপ্লবের সময় তাকে গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করা হয়েছিল, কারণ তার ভূমিকা ছিল একটি স্বাধীন, সুষ্ঠু ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের জন্য জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতীক।
বিবৃতিতে জুলাই বিপ্লবে অংশগ্রহণকারী সকল রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানানো হয়। সরকার জানায়, জনগণের ম্যান্ডেটের বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ এবং গণতন্ত্রে সফল রূপান্তর নিশ্চিত করতে এই ঐক্য অপরিহার্য।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ২০২৬ সালের প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন যথা সময়ে অনুষ্ঠিত হবে। অন্তর্বর্তী সরকার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করে জানিয়েছে, নির্বাচন বিলম্বিত বা লাইনচ্যুত করার যেকোনো ষড়যন্ত্র তারা এবং গণতন্ত্রপ্রেমী জনগণ দৃঢ়ভাবে প্রতিরোধ করবে।