
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, গোপালগঞ্জের মানুষ ও ইতিহাস-ঐতিহ্য অবিচ্ছেদ্য। তিনি আরও বলেন, “গোপালগঞ্জের সব মানুষ খারাপ নয়। প্রশাসনের ভাইদের আমি অনুরোধ করবো, সাধারণ মানুষকে নির্বিচারে মামলা দিয়ে হয়রানি করবেন না।”
শুক্রবার (২২ আগস্ট) সকালে মুকসুদপুর কলেজ মোড়ে গোপালগঞ্জ জেলা গণঅধিকার পরিষদের উদ্যোগে একটি পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।
নুরুল হক নুর বলেন, “আমাদের বাঙালির মুক্তিসংগ্রামের অগ্রদূত শেখ মুজিবুর রহমান থেকে শুরু করে সাংবাদিক ও বামপন্থি নেতা নির্মল সেন, ইতিহাসবিদ রমেশচন্দ্র মজুমদার, মতুয়া সম্প্রদায়ের হরি চাঁদ ঠাকুর, ক্রিকেটার রকিবুল হাসান, গায়িকা ফিরোজা বেগম এবং চলচ্চিত্র পরিচালক কাজী হায়াত—অনেক গুণী ব্যক্তির জন্ম হয়েছে এই মধুমতীর তীরে গড়ে ওঠা গোপালগঞ্জে। তাই এখানে জন্ম নেওয়া মানুষদের সবাইকে খারাপ বলা যাবে না।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের সুযোগ ছিল শেখ হাসিনার সরকারের মধ্যে সুবিধাবাদী রাজনীতি করার, আমরা বাছাইভিত্তিক পদও পেতাম, কোটি কোটি টাকা সম্পদ করতাম। কিন্তু আমরা আপোষ করিনি। আমরা বিশ্বাস করি, রাজনীতি জনগণের কাছে নিয়ে যেতে হবে এবং নির্বাচিত প্রতিনিধিদের জনগণের জন্য দায়বদ্ধ করতে হবে।”
ডাকসুর সাবেক এই ভিপি উল্লেখ করেন, নতুন বাংলাদেশ গঠনের জন্য পুরোনো রাজনৈতিক বন্দোবস্তের মধ্য দিয়ে নির্বাচন করা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, “নির্বাচনে নতুন বন্দোবস্ত নিয়ে আমরা আলোচনা করছি। আমাদের পরিকল্পনা দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ এবং উচ্চ কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করার।”
পথসভায় সভাপতিত্ব করেন গোপালগঞ্জ জেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি আল আমিন সরদার। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক অপু মুন্সি। সভায় বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, ফরিদপুর বিভাগীয় গণঅধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. ফিরোজুর রহমান, উচ্চতর পরিষদের সদস্য শহিদুল ইসলাম, মাহফুজুর রহমান, যুব অধিকার পরিষদের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ফারুক হোসেন, গোপালগঞ্জ জেলা যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোল্লা ইব্রাহিম, গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি শেখ মোজাহিদ এবং মুকসুদপুর উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ আলি।