
নোয়াখালীকে একটি স্বতন্ত্র প্রশাসনিক বিভাগ হিসেবে ঘোষণার দাবিতে আজ (বৃহস্পতিবার) জেলার সোনাইমুড়ী এবং চাটখিলে পৃথক দুটি কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। এই কর্মসূচির মধ্যে ছিল সড়ক ব্লকেড, মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ, যার ফলে কয়েকটি প্রধান সড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সোনাইমুড়ী চৌরাস্তায় সড়ক অবরোধ (ব্লকেড) কর্মসূচি পালিত হয়। এই ব্লকেডের কারণে নোয়াখালী–কুমিল্লা ও চৌমুহনী–রামগঞ্জ সড়কে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ থাকে। এতে সড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয় এবং সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়েন।
এই কর্মসূচি পালিত হয় নোয়াখালী বিভাগ বাস্তবায়ন সমন্বয় কমিটি, নোয়াখালী বিভাগ বাস্তবায়ন সংগ্রাম পরিষদ এবং সোনাইমুড়ী ও চাটখিল উপজেলার সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে। কর্মসূচিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং সাংবাদিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন যে, নোয়াখালীকে কুমিল্লা বিভাগের অন্তর্ভুক্ত করার ষড়যন্ত্র চলছে। তারা দাবি করেন, জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কোনো গণশুনানি ছাড়াই এই প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে। বক্তারা স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর ও কুমিল্লাকে সমন্বয় করে ‘নোয়াখালী বিভাগ’ গঠন করতে হবে। অন্য কোনো জেলার নামে বিভাগ হলে তা প্রতিহত করা হবে।
সমাবেশে বক্তব্য দেন নোয়াখালী বিভাগ বাস্তবায়ন সমন্বয় কমিটির সভাপতি সাইফুর রহমান, চাটখিল উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আনিস আহমেদ সহ বিএনপি নেতা আহসানুল হক এবং জামায়াত নেতা জামাল উদ্দিন ও ফজলে রাব্বি।
অপরদিকে, বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে চাটখিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধনের মাধ্যমে আরেকটি কর্মসূচি শুরু হয়। পরে অংশগ্রহণকারীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে পৌর বাজারের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।
বিক্ষোভ শেষে ঢাকা–রামগঞ্জ মহাসড়কে আরেকটি মানববন্ধন করা হয়। মানববন্ধন ও সমাবেশ শেষে ইউএনওর কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। নোয়াখালীকে স্বতন্ত্র বিভাগ ঘোষণার দাবিতে এই আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন বক্তারা।