
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যকার বৈঠক প্রসঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বৈঠকটিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, জাতীয় ঐক্য ও সংস্কারের বিষয়গুলো যথাযথ গুরুত্ব পাচ্ছে না।
তার বক্তব্যে উঠে এসেছে, বর্তমান সরকার কেবল নির্বাচন আয়োজনের জন্য নয়, বরং এটি একটি অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে গঠিত, যেখানে জনগণের আত্মত্যাগ এবং ন্যায্য প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটানো জরুরি। এজন্য জুলাই মাসের মধ্যে “জুলাই সনদ” ও “জুলাই ঘোষণাপত্র” প্রকাশ, মৌলিক সংস্কার এবং দৃশ্যমান বিচার নিশ্চিত করাকে তিনি নির্বাচনের পূর্বশর্ত হিসেবে উল্লেখ করেন।
হাসনাত আবদুল্লাহর মতে, নির্বাচন নিয়ে আলোচনা তখনই গ্রহণযোগ্য হবে, যখন “জুলাই সনদ” জনসমক্ষে উপস্থাপিত হবে। তিনি আরও বলেন, শুধুমাত্র মাস বা তারিখ নির্ধারণ না করে একটি গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ পরিবেশ সৃষ্টি করাই এখনকার প্রধান কাজ।
তিনি আরও সতর্ক করে বলেন, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চাঁদাবাজি, প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ, দখলদারিত্ব ও রাজনৈতিক পেশিশক্তির ব্যবহার নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ হলো একটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা, যা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মূল ভিত্তি।
সবশেষে তিনি বলেন, নির্বাচন এপ্রিল হোক বা ফেব্রুয়ারি—তা মুখ্য নয়। আসল বিষয় হলো, এর আগে দৃশ্যমান বিচার, রাজনৈতিক সংস্কার এবং একটি বিশ্বাসযোগ্য “জুলাই সনদ” বাস্তবায়ন করা হচ্ছে কিনা।